পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কেটে গেছে। সাময়িক হলেও স্বস্তি ফিরেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে চরম অস্বস্তি ও উদ্বেগে ছিলেন সরকারি দলের নীতিনির্ধারকরা। একদিকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ‘কারো ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শঙ্কা’ অন্যদিকে বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশের নামে সরকার উৎখাতের লক্ষ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ভীতি। এ ছাড়াও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের জনগণের পক্ষে অবস্থান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলার সঙ্কট, ব্যাংকগুলো থেকে টাকা তোলার হিড়িক, ব্যাংকের প্রতি আস্থাহীনতাসহ অর্থসঙ্কট নিয়েও শঙ্কা ছিল। এগুলোর কোনোটিই ঘটেনি। ফলে সাময়িক স্বস্তি ফিরেছে সরকারের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। আগামী ২৪ ডিসেম্ব্র দলের জাতীয় সম্মেলন কোনো ধরনের দেশি-বিদেশি চাপ ছাড়াই করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এদিকে ঢাকার যে ১৫ বিদেশি কূটনৈতিক মিশন দেশের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল ১২ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করা হয়েছে। তবে ‘অন্ধকার ঘরে সাপ সারা ঘরে সাপের ভয়’ প্রবাদের মতোই অনেকের মধ্যে ভীতি রয়ে গেছে। গতকালও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপিকে যে চেনে না, সে কবরস্থানও চেনে না। বিএনপি এখন নানা কৌশলে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চক্রান্ত করছে। যে হাত দিয়ে বিএনপি আমাদের আক্রমণ করবে, সেই হাত ভেঙে দিতে হবে’। বিএনপিকে অহেতুক সংঘাতের উস্কানি না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন। অনুরোধ করব; ঢাকা শহরে অহেতুক সংঘাতের উস্কানি দেবেন না। সারা দেশ থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা আসবে, আমরা সংঘাত চাই না।’
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিষেধাজ্ঞা না আসায় তারা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। এ নিয়ে দলটির নেতাকর্মীরা সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ‘খোঁচা’ দিচ্ছেন। এমনকি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র, মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এমনকি বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিদেশি কোনো দেশকে নাক গলাতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আর সে দেশের মানবাধিকার নিয়েও প্রশ্ন রয়ে গেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বলে সরকারের খুশি হওয়ার কিছু নেই। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আগ বাড়িয়ে বক্তব্য দিয়েছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রচারণা হয়েছে। কয়েকজন মন্ত্রী লাগামহীন বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। তবে জনগণের ভোটের অধিকার ও মানবাধিকার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমারা সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সমর্থনযোগ্য না হলেও সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কারণে দেশের মানুষ নিষেধাজ্ঞা চায়। যে কোনো সময় নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। পৃথিবীর রাজনীতি এখন দুই ব্লকে বিভক্ত। বিএনপির সমাবেশ ইস্যুতে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত এবং বিএনপির অফিসে ভয়ঙ্কর অভিযান নিয়ে ১৫টি মিশন বিবৃতি দিয়েছে। এতে চীন, ভারত ও রাশিয়ার নাম নেই। এই তিন দেশ বিবৃতি না দেয়ার অর্থ আওয়ামী লীগ সরকার তাদের ব্লকে। যুক্তরাষ্ট্র কী সেটা ভালো চোখে দেখছে? গার্মেন্টস-অর্থনীতিসহ অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বাংলাদেশ নির্ভরশীল। আর বাংলাদেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা এবং বিদেশে টাকা পাচার করে ব্যাংকগুলো ফোকলা করা হয়েছে। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষ ব্লকে গেলে তারা কী আমাদের সহায়তা করবে? আওয়ামী লীগের উচিত গোয়ার্তুমি না করে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া। না হলে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বাংলাদেশের জনগণের ভোটের অধিকার তথা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং আইনের শাসন ও মানবাধিকারের ব্যাপারে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান একাট্টা। ২০১৪ সালের প্রার্থী ও ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের রাতের ব্যালটে সিল মারার ঘটনা সবই জানেন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও প্রভাবশালী শক্তিগুলো। ওই দু’টি পাতানো নির্বাচন মেনে নিলেও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তারা পাতানো দেখতে চান না। তারা চান বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পাক। সে জন্যই দীর্ঘদিন থেকে এসব দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধি ও ঢাকায় কর্মরত কূটনীতিকরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করছেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া বিগত ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র্যাবের কয়েকজনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর সরকারের মধ্যে ২০২২ সালে ফের নিষেধাজ্ঞা দেয় কি না এ নিয়ে আতঙ্ক ছিল। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক এবং ধারাবাহিক গুজব ছড়ানোর হয়। গত বছর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর দীর্ঘ এক বছর দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড তেমন হয়নি। ফলে এ নিয়ে আশঙ্কার কিছু ছিল না। অথচ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আগ বাড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। নিষেধাজ্ঞা দিলে বাইডেন প্রশাসন ভুল করবেন এমন পাকামো কথাবার্তা বলছেন। এমনকি কয়েকজন এমপির মালিকানাধীন গণমাধ্যম (টিভি, অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়া) প্রচার করে বিদেশি আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান, স্টিভেন কে কিউসি, জন ক্যামেগ কোটি কোটি টাকা নিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আর্থিক ও সামরিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাস্তবে গত ৯ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য কয়েকটি দেশের রাজনীতিক, মানবাধিকার লংঘনকারী দুর্নীতিগ্রস্ত ৩০ জনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর বিশ্বের ৯টি দেশের ৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। বাংলাদেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা থাকলেও তা হয়নি। এটা সরকারের জন্য দারুণ স্বস্তি। তাছাড়া বিদেশে টাকা পাচার, ডলার সঙ্কট, ব্যাংক ঋণের জালিয়াতিতে অর্থনীতিতে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয় অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। ডলার সঙ্কটের কারণে এখনো কিছু ব্যাংক ঋণপত্র খোলা বন্ধ রেখেছে এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ফাইল খোলা স্থগিত রেখেছে। সরকার লুকোচুরি করলেও আইএমএফের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইলে দেখা যায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিকরা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেই একাধিকবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ২০২৩ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। এ জন্য তিনি মানুষকে মিত্যবায়ী হওয়া এবং উৎপাদন বাড়ানোর উপদেশ দেন। বাস্তব দেখে এখনো অর্থনীতির তেমন উন্নতি এবং ডলার সঙ্কট না কাটলেও বিশেষজ্ঞরা যে আশঙ্কা করেছিলেন তা ঘটেনি। ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কটের চলমান অবস্থায় আরো খারাপ হওয়ার আগেই ২০২২ সাল পার করতে পারছে সরকার। এটাও সরকারের নীতিনির্ধারকদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর।
মূলত আসন্ন নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে এবং মানবাধিকার রক্ষা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিদেশিদের চাপ, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের তৎপরতা, জাপান, জার্মান ও কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের নির্বাচন ইস্যুতে বক্তব্য সরকারকে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। এ সময় জাতীয় সংসদের গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের সরকারের অপকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থা নেন। জাতীয় পার্টি সরকারের অন্ধ সমর্থন থেকে সরে গিয়ে যে কোনো সময় বিএনপির আন্দোলনে শরিক হতে পারে সে আশঙ্কা ছিল। এ অবস্থায় ৮ অক্টোবর জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমানের ‘১০ ডিসেম্বর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে’ বক্তব্য সরকারকে বেসামাল করে দেয়। আমানের সুর ধরে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিও একই বক্তব্য দেন। বেগম জিয়াকে সমাবেশে আনা হয় কি না তা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। যদিও আমানের এই মেঠো বক্তব্য ছিল অনেকটাই ১৫ বছর আগে ২০০৪ সালের ২২ মার্চ করা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের দেয়া ট্রাম্পকার্ড ‘৩০ এপ্রিলের মধ্যে সরকারের পতন’ বক্তব্য। কিন্তু বিদেশিদের চাপের মধ্যে মাঠের বিরোধী দল বিএনপির যদি রাজধানী ঢাকার সমাবেশে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সামবেশের মতো অবস্থান নেয় সে আশঙ্কা করছিল। সে জন্যই বিএনপির ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে ভীতি-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সে কারণে ১৫ বছর পর সরকারের নীতিনির্ধারকরা স্বীকার করেন যে প্রক্রিয়ায় হেফাজতকে রাতের অন্ধকারে শাপলা চত্বর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল; বিএনপিকে সেভাবে তুলে দেয়া হবে। এতদিন পর স্বীকার করা হলো শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ বিতাড়িত করা হয়েছিল। অথচ বিএনপির নেতারা বার বার বলে আসছেন তারা সারাদেশের অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মধ্যে রাজধানীতে সমাবেশ করবেন।
এদিকে ১০ ডিসেম্বর বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির ৭ জন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেছেন। তাদের পদত্যাগের পর গেজেট প্রকাশের আগেই নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয় জাতীয় সংসদের স্পিকার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। সংসদীয় আসন শূন্য হলে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচনের কথা বলা হলেও তার আগেই উপনির্বাচন করা হবে বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। আবার সংসদে ‘নাচের পুতুল’ বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কার্যক্রম পরিচানলায় আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর গতকাল তার সঙ্গে সমঝোতা করা হয়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, জি এম কাদের ও রওশনপুত্র রাহগির আলমাহি সাদ এরশাদ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার এক নেতা জানান, দলের সমস্যা মিটমাট হয়েছে। সামনে সব পরিষ্কার হবে। এ বিষয়ে আমাদের কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে সরকার সাময়িকভাবে হলেও কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন। কারণ গত দুই মাস অর্থনীতি, রাজনীতি, ডলার সঙ্কট, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ভয় এবং বিএনপির আন্দোলন নিয়ে যে টেনশন ছিল সেটা কিছুদিনের জন্য হলেও কেটে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।