Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো হবে : ড. মোশাররফ

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট এই সরকারের পতন। তাদের পতন ঘটিয়ে আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পূর্ণাঙ্গ মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার পরিবেশ সৃষ্টি এবং আমাদের নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করতে আমাদের কাছে আর কোনো বিকল্প নেই। তাই আগামী দিনে আমরা তাদের (ক্ষমতাসীনদের) রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ফয়সালা হবে রাজপথে এবং এই রাজপথে ফয়সালা করার জন্য ব্যর্থ-ফ্যাসিবাদ-স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানোর জন্য আপনারা সকলে রাজপথে প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। এছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

গতকাল মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র নেতা আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভীসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা ২টায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এ সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশের শুরু আগেই সকাল থেকে বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে দলীয় অফিসের সামনে জড়ো হতে থাকেন। তারা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
প্রতিবাদ সমাবেশকে ঘিরে বিএনপির কার্যালয়ের সামনের রাস্তার এক পাশে নাইটিংগেল-ফকিরাপুলের মোড় বন্ধ ছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তছনছ করে বর্বরতা চালানো হয়েছে। লণ্ডভণ্ড করেছে। সেখান থেকে সিনিয়র নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কম্পিউটার ভেঙে ফেলছে। যার লক্ষ্য ছিল ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগের গণসমাবেশ পণ্ড করা। একইভাবে তারা বিভিন্ন বিভাগের গণসমাবেশ পণ্ড করতে পরিবহন ধর্মঘট ও হামলা চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছিল। তবুও আমাদের গণসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। বরং জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। তিনি বলেন, সরকার ভেবেছিল আমাদের মহাসচিব সহসিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করে সমাবেশ পণ্ড করবে। কিন্তু সেটা করতে পারেনি। সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাতে গিয়ে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। ব্যাংকগুলো লুট করা হচ্ছে। মানুষ আরও গরিব হচ্ছে। তারা ঠিকমতো খেতে পারে না।

ড. মোশাররফ বলেন, বানোয়াট মামলায় ফরমায়েশ রায় দিয়ে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখেছে। দেশনায়ক তারেক রহমানকে বিদেশে থাকতে বাধ্য করেছে। তেমনিভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের ক্ষমতার জন্য ব্যবহার করছে। আওয়ামী লীগ এত নির্যাতন করেও বিএনপি দুর্বল হয়নি। যার প্রমাণ বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণ। জনগণ পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে, এই সরকারকে তারা চায় না। সেই লক্ষ্যে আমরা যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলতে ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছি।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্বের নেতারা বলছেন, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই এই সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, অনেকে বলেন, আপনারা কী করবেন? আওয়ামী লীগের হাতে পুলিশ আছে, আওয়ামী লীগের হাতে প্রশাসন আছে। আমি বলতে চাই- এদেশেও এই ধরনের স্বৈরাচার অতীতে ছিল। এরশাদ স্বৈরাচারকে এদেশের ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিদায় করেছে, পাকিস্তানের সময় আইয়ুব খানকে বিদায় করেছে। আপনারা কয়েক মাস আগে দেখেছেন, শ্রীলঙ্কায় সেই রাজাপাকসে ভাইদেরকে জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থান করে তাদের বিদায় করেছে। তাই আমরা বলতে চাই, জনগণ প্রস্তুত।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসনে যারা কাজ করেন, পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই-আপনারা জনগণের শত্রু নন, আপনারা জনগণের অংশ, আপনারা জনগণের পক্ষ। আপনারা শপথ নিয়েছেন দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য। আপনারা যারা প্রশাসনে আছেন, আপনারা যারা পুলিশ বিভাগে আছেন- দয়া করে জনগণের পাশে অবস্থান গ্রহণ করুন। আপনারা কোনো দলের কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। আপনারা শপথ নিয়েছেন এদেশের জনগণের স্বার্থে আপনারা কাজ করবেন। আপনারা রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী কারো নন, আর রাজনৈতিকভাবে আপনারা কারো সেবাদাসও নন। আপনারা জনগণের সেবক।

সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে উঠেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, সরকার চলে যাবে। কিন্তু আপনারা এদেশের সন্তান, আপনারা সরকারের অধীনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, আপনারা থাকবেন, আপনাদের সাথে জনগণের যুদ্ধ নেই। আপনাদের সাথে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আমরা রাজনীতি করি, রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি আদায়ের রাজনীতি আমরা করি। আপনাদের সাথে আমাদের শত্রুতা নেই।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠার রাজনীতি করে। তারা মানুষ হত্যা করে। কিন্তু এভাবে নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে দেশের মানুষকে ঠেকানো যাবে না। এখনো বলছি শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় নিন। ইতোমধ্যেই বিএনপির সমাবেশে জনগণ রায় দিয়েছে যে তারা আপনাদের আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নিন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের সভা সমাবেশে কাউকে টাকা দিয়ে আনা হয় না। আমাদের সমাবেশে যারা আসেন তারা দেশের জন্য ও মানুষের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। আর অন্য দলের সভায় যারা যান তাদের বিরিয়ানি খাওয়া থেকে শুরু করে টাকা-পয়সা ও টি-শার্ট দিয়ে সমাবেশে নিয়ে আসেন।

সরকার বিদেশী মিশনে নালিশ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার বিদেশিদের বলে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাবেন না। আবার তারাই বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। বিদেশিদের পেছনে দৌড়াচ্ছে। কোনো কাজ হবে না। দেশের জনগণ এই সরকারকে আগেই বাতিল করেছে এখন বিশ্ব তাদের বাতিল করেছে। তাদের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো পথ নেই। ইনশাআল্লাহ আমাদের আন্দোলন সফল হবেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ নেতারা প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশে বক্তারা বলেন, জনগণ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। সর্বশেষ ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে নগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি দলের শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন। মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে নগর বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, মহিলাদলের জেলী চৌধুরী প্রমুখ। পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি। জেলা আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল হয়। অন্যদিকে নগরীতে নেতৃত্ব দেন নগর আহবায়ক এ্যাড: এরশাদ আলী ঈশা। মালোপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। তিনি বলেন, অসহনীয় দ্রব্যমূল্য, লাগাতার লোডশেডিং, দুর্নীতি-দুঃশাসন, গুম, হত্যা, মামলা-হামলা, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করেছে।

যশোর ব্যুরো জানায়, যশোরে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ঘিরে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা। দিনব্যাপী জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সাথে গোটা লাল দিঘি এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখে। তবে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে এবিষয় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দলের খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। অন্যদিকে এমন বৈরী পরিস্থিতির মধ্যেও দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা শহরের বিক্ষোভ মিছিল করেন। দলীয় কার্যালয়ে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সাংবাদিকদের বলেন, ১০ ডিসেম্বর দেশের জনগণ পাহাড় সমান বাধা-বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় কর্মসূচি সফল করেছে। সেই গণসমাবেশ থেকে বিএনপি জনগণের মুক্তির সনদ ১০ দফা ঘোষণা করেছে।

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও বিএনপি কার্যালয়ে হামলা এবং নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় মহানগর যুবদলের এক নেতাকে আটক করে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর বাদুরতলা বিএনপির অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ বের করে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি। মিছিলে ছিলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক উদবাতুল বারী আবু, সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, ভিপি জসিম, বিএনপি নেতা রেজাউল কাইয়ূমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে মানিকগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাড. আজাদ হোসেন খানের নেতৃত্বে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ১ নম্বর আইনজীবী ভবনের সামনে সমাবেশ করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জিয়া উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন জাদু, দফতর সম্পাদক আরিফ হোসেন, শিল্প বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, স্বনির্ভরবিষয়ক অ্যাড. মহিউদ্দিন স্বপন প্রমূখ।

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা জানান, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির উদ্যোগে গতকাল সকালে বিক্ষোভ মিছিল কুরপাড় মাস্টারের বাড়ির সামনে থেকে বের হয়ে পুলিশ লাইন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্ত্যব রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম হিলালী, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তাজেজুল ইসলাম ফারাস সুজাত, বজলুর রহমান পাঠান, এস এম মনিরুজ্জামান দুদু, জেলা কৃষক দলের সভাপতি সালাহ্উদ্দিন খান মিল্কীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ