পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় হওয়া এ মামলায় গতকাল মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর আগে সোমবার রাত ১টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে জামায়াত আমিরকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি। পরে তাকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল বাসার। অন্যদিকে, আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজন আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু রিমান্ড শুনানিতে বলেন, জঙ্গিবাদে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে। সেজন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এর বিরোধিতা করে জামায়াতের আমিরের পক্ষে জামিন চেয়ে আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ সংগঠন নয়, জঙ্গিবাদেও সম্পৃক্ত না। জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত দলগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। জামায়াত সংসদেও ছিল। তিনি জামায়াতের প্রধান, এটাই তার অপরাধ।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের যাত্রাবাড়ীর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মাহমুদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর শফিকুর রহমানের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তার ছেলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাকেও গ্রেফথার দেখানো হয়েছে।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। গতকাল সকালে জাময়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর মৌচাক মার্কেটের সামনে থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ রেলগেটে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, মু. দেলওয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, মু. শামছুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আবদুস সালাম, মোবারক হোসাইন, শেখ শরিফ উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আবদুল কাইউম মুরাদ, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি আরিফ হোসাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান প্রমুখ। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জামায়াতের নেতারা অবিলম্বে তাদের কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
জামায়াতের আমীরকে গ্রেফতার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
রাজশাহী ব্যুরো জানায় : জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির আমির ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার ও রিমান্ডের প্রতিবাদে রাজশাহীতে ঝটিকা মিছিল করছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর নিউমার্কেট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি কাদিরগঞ্জ হয়ে দরিখরবোনা মোড়ে গিয়ে শেষ করে।
এদিকে মিছিল শেষ করে জামায়াত নেতাকর্মীরা উপশহরের দিকে যাওয়ার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠি-সোঠা নিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে জামায়াত নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সরে যায়। এরপর আসে পুলিশ।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের নেতাকর্মীরা হঠাৎ করে একটি মিছিল বের করে। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ পৌঁছার আগেই তারা পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।