পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ব্যাংকিং খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানো এবং গ্যাস পাইপলাইনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি জানান,দুই-তিনটি বিষয়ে নির্ধারিত আলোচ্যসূচির বাইরে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে একটি সাইবার সিকিউরিটির বিষয়। এটাকে আরও জোর দিতে বলা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে হঠাৎ তৎপর হওয়ার কোনো বিশেষ কারণ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,বিশেষ কারণ না। আমরা গত দুই-তিন বছর থেকেই সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে দেখছিলাম। এক্ষেত্রে আরও মডার্ন ইকুইপমেন্ট ইউজ করার জন্য অনেকেরই যাতে কোনোভাবেই ওয়েবসাইট বাইরে থেকে হ্যাক করা না যায়। তিনি বলেন, আমি রিসেন্টলি আমেরিকায় ছিলাম। ওইখানেও দেখলাম দুই-তিনটি বড়-বড় অফিসে হ্যাক হয়ে গেছে। সেজন্য আমাদেরও আর একটু যেন কমফোর্ট থাকে বিশেষ করে আমরা এখন আস্তে আস্তে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের দিকে যাচ্ছি। ওগুলোতেও যাতে একটু ভালো করে নিরাপত্তা থাকে, সেজন্য। সাইবার সিকিউরিটিটাতো জেনারেল একটি কনসেপ্ট। ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের নিরাপত্তা বাড়ানো ছাড়াও সাবমেরিন ক্যাবল ইস্যুতেও মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, আমাদের ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের সিকিউরিটির বিষয়ে আরেকটু স্ট্রংলি দেখতে বলা হয়েছে। সাবমেরিন ক্যাবলের নেক্সট যে আরেকটি ক্যাবল অনুমোদন করা হয়েছে, সেগুলো যেন আরও কুইকলি কাজ করা হয়।
গ্যাস পাইপলাইনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইপলাইনগুলো আরও তাড়াতাড়ি করতে বলা হয়েছে। যাতে গ্যাস এবং ফুয়েল পাইপলাইনের মাধ্যমে দেওয়া যায়। তাহলে সিস্টেম লসসহ অন্যান্য লস যেমন ক্যারিং কস্ট, হ্যাজার্ড- এগুলো কমে আসবে, অ্যাফেক্টিভিটি বাড়বে। সেজন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অনেক জায়গায় পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। এগুলো খুব কুইকলি কাজ করে সাপ্লাইটা যেন পাইপলাইনের মাধ্যমে যথাসম্ভব বিশেষ করে মেজর সাপ্লাইগুলো যেন আনা হয়। কারণ ইন্ডিভিজুয়ালি সব জায়গায় পাইপলাইন দেওয়া সম্ভব হবে না। গ্রিডলাইনের মতো। গ্রিডলাইন যেমন মেজর জায়গায় যাচ্ছে ওরকম পাইপলাইনও মেজর জায়গায় নিয়ে গেলে, যেমন ধরুন ঢাকা থেকে পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস যাচ্ছে সব জায়গায়। এটার খরচ তো স্বাভাবিকভাবেই কম। এজন্যই পাইপলাইন খুব কুইকলি (দ্রুত) করার জন্য বলা হয়েছে।
পারদের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে কনভেনশন অনুসমর্থন মন্ত্রিসভার
পারদযুক্ত সামগ্রী থার্মোমিটার, পেইন্টস, প্রসাধনী, বাতি, ব্যাটারি থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার ৬৬০ কেজি পারদ আমাদের পরিবেশে আসে। এটা মেসিভ ডিজাস্টার এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এটার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সরকার। দেশে পারদের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ‘মিনামাটা কনভেনশন অন মার্কারি› এর অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার এ বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, পারদযুক্ত সামগ্রী থার্মোমিটার, পেইন্টস, প্রসাধনী, বাতি, ব্যাটারি থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার ৬৬০ কেজি পারদ আমাদের পরিবেশে আসে। এটা মেসিভ ডিজাস্টার এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ জিনিস। এটার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আস্তে আস্তে কমিয়ে আনতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আমাদের সংবিধানের ১৮(ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, পরিবেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য মূলনীতি টেকশই উন্নয়ন অভিষ্ঠ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ চলমান অগ্রযাত্রায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের এই কনভেনশন আমরা সমর্থন করব এবং সমর্থন করা হয়েছে। তিনি বলেন, মার্কারির (পারদ) সীমিত ব্যবহার নিয়ে ২০১৩ সালে মিনামাটাতে কনফারেন্স হয়েছিল। পারদের ব্যবহার বন্ধ করা, বর্জ্য পোড়ানো ও পারদযুক্ত পণ্যের ব্যবহার কমানো নিয়ে মিনামাটায় একটা কনভেনশন ছিল। পারদ একটি ক্ষতিকর কম্পাউন্ড। আমাদের দেশে থার্মোমিটারে পারদ ব্যবহার করা হয়। থার্মোমিটারে পারদ ব্যবহার না করে অন্য কিছু ব্যবহার করতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হয়তো একটা থার্মোমিটার ভেঙে গেল, বাচ্চারা এটা নিয়ে খেলে, আমরাও ছোট বেলায় এগুলো নাড়াচাড়া করেছি। পারদ যে এতো ক্ষতিকর শরীরের পক্ষে বা পরিবেশের পক্ষে, আমাদের কারো ওই রকমের পারসেপশন ছিল না। এখন আস্তে আস্তে জিনিসগুলো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।