Inqilab Logo

শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সংশোধনেও ত্রুটিমুক্ত হয় না দুদক আইন

দুর্বলতা আইনে না প্রয়োগে?

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম


দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪-এর আওতায় দুর্নীতি দমন ব্যুরো পরিণত হয় ‘দুর্নীতি দমন কমিশন’ এ। এ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দুর্নীতিবিরোধী এ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর কার্র্যালয়ের অধীন থেকে মুক্ত হয়ে আইনত : স্বাধীন সত্ত্বা পরিগ্রহ করে। প্রতিষ্ঠানটি আইনগত দিক দিয়ে স্বাধীন হলেও বিধির অভাবে নিষ্ক্রিয় ছিল প্রায় ৩ বছর। ২০০৭ সালে জরুরি ক্ষমতা বলে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দুদককে সক্রিয় করার চেষ্টা চলে। সে সময়কার কার্যক্রম নিয়ে পরে সৃষ্টি হয় আইনি জটিলতা। ওই সময় দায়ের হওয়া মামলার অধিকাংশই এখনও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। এর মধ্যে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন এবং ২০০৪ সালের আইনের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে ৭ বছরের মাথায় ২০১৩ সালের দুদক আইন সংশোধন করতে হয়। কিন্তু এ সংশোধনীতে অযাচিতভাবে দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারাযুক্ত করে দেয়া হয়। আর তাতেই দুদক পুনরায় নিষ্ক্রিয় হওয়ার উপক্রম হয়। এ প্রেক্ষাপটে দুদক আইনে আরেক দফা সংশোধনী জরুরি হয়ে পড়ে। ২০১৫ সালে হয় সেই সংশোধনী। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে বারবার সংশোধন করা হলেও ত্রুটিমুক্ত করা যায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন আইনকে। তবে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলছেন, দুদকের বিদ্যমান আইনে কোনো ত্রুটি নেই। যা রয়েছে সেটি হচ্ছে প্রায়োগিক দুর্বলতা কিংবা অপপ্রয়োগ।

(এক) ২০০৪ সালে দুদক আইন কার্যকর হয়। আইনটির ১৬ (৪) ধারায় উল্লেখ রয়েছে, কমিশনার, অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরির অন্যান্য শর্তাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে। কমিশন বিধি হয়েছে ২০০৭ সালে। তাহলে এর আগ পর্যন্ত কীভাবে দুদকের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে? হলেও সেটি কতটা আইনসিদ্ধ?

(দুই) দুদক আইনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হইবে। এ প্রস্তাবনাকে ভিত্তি ধরে দুদকের ৩৮টি ধারার ৫ জায়গায় দুদককে ‘স্বাধীন প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তাবনায় ২ বার, ৩(২) ধারায় ১ বার, ২৪ ধারায় ১ বার এবং ২৫ ধারায় ১ বার দুদককে ‘স্বাধীন’ কমিশন হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

অথচ আইনের ৩৬ ধারায় কমিশনকে করা হয়েছে সরকারের মুখাপেক্ষি।
(তিন) ধারার ‘জটিলতা নিরসনে সরকারের ক্ষমতা’য় বলা হয়েছে, ‘কমিশনের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে এই আইনের বিধানে অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া গেজেট বিজ্ঞপ্তির দ্বারা উক্ত বিধানের স্পষ্টকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদান করত কমিশনের করণীয় বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিতে পারিবে।’ সরকার দুদকের ‘জটিলতা’ নিরসনকল্পে ক্ষমতা প্রয়োগ করছে। যা ‘স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন’র সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিশ্লেষককরা মনে করেন, আইনের কোনো অস্পষ্টতা পরিলক্ষিত হলে, ব্যাখ্যা প্রয়োজন হলে একমাত্র সুপ্রিম কোর্টই হচ্ছে ব্যাখ্যা প্রদানের সংবিধানসিদ্ধ কর্তৃপক্ষ। অথচ দুদক আইনের ‘অস্পষ্টতা’ স্পষ্টীকরণ, ব্যাখ্যা প্রদান এবং ‘অসুবিধা’ নিরসনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সরকারকে। আইনের এ ধারার মাধ্যমে ‘স্বাধীন’ কমিশনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারের নিয়ন্ত্রণ। ফলে ৩৬ ধারা স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদকের ধারণাগত বৈশিষ্ট্যের পরিপন্থি।

(চার) দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে গুরুত্বপূর্ণ ধারা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ১৫ ধারাটিকে। ১৫(১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কমিশনের সকল সিদ্ধান্ত উহার সভায় গৃহিত হইতে হইবে।’
বাস্তবে কমিশনের সকল সিদ্ধান্ত কমিশন সভায় গৃহিত হয় না। কমিশনারগণ নিজ নিজ কক্ষে বসে নোট প্রদানের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন। এর প্রমাণ হচ্ছে অনুসন্ধান, মামলা অনুমোদন, চার্জশিট অনুমোদন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে একেক কমিশনারের একেক দিনে স্বাক্ষর। ফলে কমিশন সভার বাইরে গৃহিত সিদ্ধান্ত আইনসিদ্ধ কি নাÑ এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। দুদক আইনে এখতিয়ারের দিক থেকে চেয়ারম্যান বড় নাকি তিনি একজন কমিশনার মাত্র। মো: বদিউজ্জামান কমিশনে কমিশনারদের মাঝে এমন প্রশ্নে মতদ্বৈতা দেখা দিলে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো: কামাল হোসেন জনস্বার্থে রিট করেন। হাইকোর্টের তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চ চেয়ারম্যানকেও কমিশনারের সমান এখতিয়ার এবং কমিশনের তিন সদস্য সমন্বয়ে ‘কমিশন’ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তৎকালিন দুদক চেয়ারম্যান মো: বদিউজ্জামান ব্যক্তিগতভাবে আপিল করেন। বিগত দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদও ব্যক্তিগতভাবে সেই আপিলেপক্ষভুক্ত হন। আপিলটি এখনও বিচারাধীন। কোনো ফয়সালা না আসায় বর্তমান কমিশন সদস্যগণ নিজেদের মতো ব্যখ্যা করছেন। যেমনÑ দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মোজাম্মেল হক খান জানান, চেয়ারম্যানসহ তিন কমিশনারের সম্মতিতেই কমিশনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। পক্ষান্তরে কমিশনার (তদন্ত) মো: জহুরুল হক আলাপচারিতায় জানান, কমিশনের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ‘মেজরিটি’ প্রাধান্য পাচ্ছে। অর্থাৎ কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে একজন কমিশন একমত পোষণ করলেই সেটি ‘কমিশনের সিদ্ধান্ত’ হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। একজন কমিশনার যদি ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন তার জন্য তিনি পৃথক মতামত দেন।

(পাঁচ) ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর দুদক আইনের সংশোধনী এনে ‘২ক’ যুক্ত করা হয়। এতে দুদক ‘আইনের প্রাধান্য’ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘আপাততঃ বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।’ ‘দুর্নীতি দমন কমিশন-২০০৪-এর এ বিষয়টি ছিল না। দুদক আইনের প্রাধান্য দেয়া হলেও ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান অনেক সময় দুদক আইনের প্রাধান্যকে স্বীকার করে না। রেকর্ডপত্র না দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সার্কুলারকে উদ্ধৃত করে গ্রাহকের স্বার্থরক্ষার কিছু যুক্তি তুলে ধরেন। যা দুদক আইনের পরিপন্থি। অথচ দুদক ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এহেন অবস্থানের বিরুদ্ধে ১৯(৩) ধারা প্রয়োগ করার কোনো নজির নেই।

(ছয়) সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত ‘২৮ক’ ধারায় ‘অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিন অযোগ্যতা’ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আমলযোগ্য (কগনিজেবল) এবং অ-জামিন যোগ্য (নন-বেইলেবল) হইবে।

মূল আইনের ৩৮টি ধারার কোথায় ‘আমল যোগ্যতা’র বিষয়টি উল্লেখ নেই। ফলে আইনের সংশোধনীর আগ পর্যন্ত দুদকের মূল আইনের আওতায় মামলা হলে সেটি থানায় এফআইআর হবে নাকি আদালতে মামলা দায়ের হবে-এ বিষয়ে ছিলো বিভ্রান্তি ও অস্পষ্টতা। এ অস্পষ্টতার কারণে ওয়ান-ইলেভেনের পর হারিছ চৌধুরি, শামীম ওসমান এবং গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর সময় দেখা দেয় জটিলতা। দুদকের প্রথম এই তিনটি মামলা তাই আদালতে দায়ের হয়। আমলযোগ্য কিনা আইনে উল্লেখ না থাকায় থানার পরিবর্তে আদালতে মামলা করে দুদক। এটি নিয়ে এখনো আইনি লড়াই চলছে। ২০১৩ সালের সংশোধনীতে ২৮ ধারার সঙ্গে ‘২৮ক’ ধারা যুক্ত করায় এ অস্পষ্টতা দূর হয়।

(সাত) তবে স্পষ্টতা রয়ে গেছে সংশোধনীর পরও। যেমন ‘২৮ক’ ধারায় ‘আমলযোগ্য’ (কগনিজেবল) এবং ‘অ-জামিন যোগ্য’ (নন-বেইলেবল) বলা হলেও ‘আপোস যোগ্য’ ‘আপোস অযোগ্যতা’র প্রশ্নে কিছু বলা নেই। অথচ দুদকের মূল আইনেই এটি উল্লেখ থাকার কথা। ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে এটি ‘অ-আপোসযোগ্য’ ছিল। সংশোধিত আইনের এটি একটি বড় দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত।
তবে বিশ্লেষকদের অনেকেই দুদক আইনকে ‘দুর্বল’ মানতে না রাজ। বরং এ আইনে রয়েছে চূড়ান্ত ক্ষমতা।
দুদকের আইনে তফসিলভুক্ত অপরাধগুলো হচ্ছে, (ক) দুদক আইনের অধীন অপরাধ (খ) ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন (ক্ষমতার অপব্যবহার)

(গ) ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ১৬১.১৬২/১৬৩/১৬৪/১৬৫/১৬৬/১৬৭/১৬৮/১৬৯/ ২১৭/২১৮/৪০৮/৪০৯ এবং ৪৭৭ (ক) ধারা। ২০১৩ সালের সংশোধনীতে দণ্ডবিধির নতুন কয়েকটি ধারাযুক্ত করা হয়। এগুলো হচ্ছে, ৪২০/৪৬২ক/৪৬২খ/৪৬৬/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১। দণ্ডবিধির ১০৯/১২০খ এবং ৫১১ ধারা। এর ফলে অভিযোগ আর মামলার চাপে ত্রাহিদশা সৃষ্টি হয় দুদক কর্মকর্তাদের। পরে ২০১৫ সালে আরেকটি সংশোধনী আনা হলে দণ্ডবিধির ১৬১/১৬২/১৬৩/১৬৪/১৬৫/১৬৬/১৬৭/১৬৮/১৬৯/ ২১৭/২১৮/৪০৮/৪০৯/ ৪৬২(ক)/৪৬২(খ)/ ৪৬৬ /৪৭৭(ক)/১০৯/১২০(খ), দণ্ডবিধির ৫১১, ৪২০/৪৬৭/৪৬৮ ধারাগুলো পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার এখতিয়ারে চলে যায়। এর ফলে অর্থপাচার সংক্রান্ত ২৭টি ধারাই দুদকের হাতছাড়া হয়। মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত ২৮টি অপরাধের মধ্যে একটি অপরাধ থাকে দুদকের এখতিয়ারে। এর ফলে ব্যক্তিপর্যায়ে সংঘটিত মানিলন্ডারিং, আমদানি-রফতানির নামে ওভার ইনভয়েস-আন্ডার ইনভয়েসের আড়ালে পাচার হওয়া অর্র্থের বিষয়ে দুদক তেমন কিছুই করতে পারছে না। অথচ এ প্রক্রিয়ায়ই সবচেয়ে বেশি অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। অর্থপাচারের তদন্ত প্রশ্নে সিদ্ধান্তহীন দুদক হাইকোর্টের একটি রায় উদ্ধৃত করে একবার বলছে, সব ধরনের মানিলন্ডারিং দুদকের এখতিয়ারভুক্ত। আবার বলছে, মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ে দুদকের তেমন কিছুই করার নেই। পক্ষান্তরে অর্থপাচার সংক্রান্ত ২৭ ধরণের অপরাধের তদন্ত বণ্টন করে দেয়া হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), কাস্টমস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (নারকোটিকস)। এর ফলে সিআইডি কিছু কিছু অভিযোগ-মামলার তদন্ত করলেও নির্বিকার অন্য সংস্থাগুলো। অর্থপাচারের মতো জটিল অভিযোগ অনুসন্ধান করার মতো পরিবেশ অধিদফতর কিংবা নারকোটিকসে দক্ষ জনবলই নেই। সন্ত্রাসী অর্থায়নের অপরাধ ২০০৯ সাল থেকে পুলিশের এখতিয়ারেই রয়েছে। কিন্তু জঙ্গি অর্থায়নের কোনো মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দেয়া হয়েছেÑ এমন দৃষ্টান্ত নেই বললেই চলে।

তবে দুর্নীতি দমন কমিশনে আইনগত কোনো ঘাটতি নেই বলে মনে করেন অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ও সংস্থাটির সাবেক মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো: মঈদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দুদক আইনে অ্যাটম বোমার মতো শক্তি দেয়া আছেÑ যা পুলিশ বা অন্য সংস্থারও নেই। রয়েছে প্রায়োগিক দুর্বলতা এবং সদিচ্ছা। লক্ষ্য করুন, ফাঁদ মামলা (ট্র্যাপ কেস)-এর মতো সাজানো ঘটনা ঘটানোরও আইনগত এখতিয়ার দেয়া হয়েছে দুদক আইনে। যা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নেই। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা এটির প্রয়োগহীনতা, পিক অ্যান্ড চ্যুজ এবং অপপ্রয়োগ দেখি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ