পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১০ ডিসেম্বর শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগে অনুষ্ঠিত বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন দলটির সংসদ সদস্যরা (এমপি)। কথামতো পরের দিন রোববার দলটির বিএনপির পাঁচ এমপি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ইতিমধ্যেই তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংসদ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও আগেই শুন্য আসনগুলোতে নির্বাচন করা হবে।
এদিকে বিএনপির সমর্থন নিয়ে বগুড়া-৭ থেকে নির্বাচিত রেজাউল করিম বাবলু, সিলেট-২ থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান এবং মৌলভীবাজার-২ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর পদত্যাগ করবেন কিনা তা নিয়ে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক চলছে। এই তিন এমপিকে নিয়ে নানান মন্তব্য করছেন এবং বক্তব্য দিচ্ছেন নেটিজেনরা। রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপির ভোটে নির্বাচিত এই তিন এমপি কোন পথে? তারা বিএনপির এমপিদের পথ অনুসরণ করবেন নাকি এমপির সুযোগ সুবিধায় ডুবে থাকবেন। জানা গেছে, বিএনপি দলীয় অন্য দুই এমপিদের একজন দেশের বাইরে থাকায় এবং অন্যজন অসুস্থ থাকায় তাদের পক্ষে পদত্যাগপত্র নিয়ে গিয়েছিলেন বাকি এমপিরা। তারা পরে নিজেরা উপস্থিত হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে জানা গেছে। তাদের আবেদনপত্র দুটিও যাচাই-বাছাই করার কথা জানিয়েছেন স্পিকার।
রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ৭ এমপি’র পদত্যাগের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এখন খবরের শিরোনাম। বিবিসি, সিএনন, স্কাইটিভি, আল জাজিরা, গার্ডিয়ান, এনডি টিভিসহ বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো গুরুত্বসহকারে প্রচার করছে। কিন্তু দেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত
‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ এর অন্য যে প্রার্থীরা জোটের, মূলতঃ মাঠে বিএনপির সমর্থন নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তারাও সংসদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন কিনা তা নিয়ে জনমনে রয়েছে ব্যাপক কৌতুহল।
ওই নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ধানের শীষ প্রতীক (বিএনপির দলীয় প্রতীক) নিয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন। এখন বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের পর নিজের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমিতো বিএনপি করি না।’ কিন্তু, আপনারাতো একই জোটে ছিলেন বলতেই তিনি বললেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট এখন নাই। এটা চার বৎসর আগেই শেষ হয়ে গেছে। সেটা ছিল ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে, স্বাধীনতার সংবিধানের ভিত্তিতে। সেই ঐক্যফ্রন্টে আমি ছিলাম ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রতিনিধি। বিএনপি এসে ওই ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করেছিল। আমি যেমন ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেছিলাম। সেখানে গণফোরাম ছিল, অন্যান্য দলও ছিল। কাজেই আমাদের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমি সংসদ সদস্য পদ ছাড়বো না।’ পদত্যাগের বিষয়টি এখন নতুন করে আলোচনায় আসছে স্মরণ করিয়ে দিতেই সুলতান মনসুর বলেন, ‘বিএনপি যারা করে, তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমিতো আর বিএনপি করিনা।’ আপনি বিএনপি না করলেও আপনারাতো আওয়ামী লীগের জোটেও নেই? ‘আমিতো সেটা বলছি না। কিন্তু, আমি জাতির জনকের রাজনৈতিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক কর্মী। সেই আলোকেই বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে চাই। কাজেই জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না।’
বিএনপির সাথে যোগাযোগ নেই বা পদত্যাগের আগে দলটির পক্ষ থেকে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানালেন দলীয় প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’ নিয়ে জয়ী গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খান। এই মূহুর্তে নিজ নির্বাচনী আসনে (সিলেট-২) অবস্থানরত মোকাব্বির খান সাংবাদিকদের জানান, তিনি নিয়মিত এলাকার সাথে যোগাযোগ রাখেন। পদত্যাগ করার প্রশ্ন এলে তাকে যারা ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন তাদের বিষয়টি মাথায় রাখবেন বলেও জানান। এর পাশাপাশি নিজ দল এবং জাতীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে পদত্যাগ করবেন কি করবেন না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন। কবে নাগাদ বিষয়টি স্পষ্ট করবেন জানতে চাইলে বললেন, ‘খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো এবং আমার অবস্থান স্পষ্ট করবো।
এদিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মভূমি বগুড়া-৭ (গাবতলী) থেকে বিএনপির সমর্থনে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম বাবলু গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিএনপি থেকে পদত্যাগের প্রস্তাব দিলে তিনি বিবেচনা করবেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।