Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাপা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপালন সংক্রান্ত আদেশ আজ

সবার দৃষ্টি আদালতের দিকে

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের দায়িত্বপালন করতে পারবেন কি না, তা আজ মঙ্গলবার জানা যেতে পারে। জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দায়িত্বপালনের সুযোগসংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের ওপর আজ ১৩ ডিসেম্বর আদেশের জন্য দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ গতকাল সোমবার আদেশের এই দিন ধার্য করেন। দেশে কোনো রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান (প্রধান) দলের দায়িত্ব করতে পারবেন কিনা এ ধরনের বিষয় এই প্রথম আদালতে উঠেছে। ফলে এ বিষয়টি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সবার দৃষ্টি এখন আদালতের দিকে। আদালত কি নির্দেশনা দেন সেটা শোনার জন্য সবাই মুখিয়ে রয়েছেন। দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার, জুলুম-নির্যাতন, অনিয়মসহ জনগণের পক্ষ্যে কথা বলায় জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে এমন মামলা করা হয়েছে।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও দলটির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন। এর আগে নিম্ন আদালতের এক আদেশের বিরুদ্ধে জি এম কাদেরের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরকে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দায়িত্বপালন থেকে বিরত রাখতে নিম্ন আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশ আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের আদেশের ফলে জি এম কাদেরের দায়িত্বপালনের পথ খুলেছিল। তবে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে জিয়াউল হক মৃধা আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা গত ৩০ নভেম্বর চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হওয়ায় জি এম কাদেরের দায়িত্বপালন আটকে যায়।

আগের ধারাবাহিকতায় জিয়াউল হক মৃধার করা আবেদনের ওপর গতকাল আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হয়। আদালতে জিয়াউল হক মৃধার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।

গত ৪ অক্টোবর জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলাটি করেছিলেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দলীয় কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দায়িত্বপালন থেকে বিরত রাখতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছিলেন। পরে এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে জি এম কাদেরের আবেদন গত ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আপিল করেছিলেন জি এম কাদের। আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখা হয়েছিল। এ অবস্থায় শুনানি আগানোর জন্য আবেদন দিয়েছিলেন জি এম কাদের, যা ২৪ নভেম্বর খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছিলেন জি এম কাদের।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, জাপার প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জালিয়াতির মাধ্যমে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। তিনি গত ৫ মার্চ দলের গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। ১৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে (জিয়াউল হক মৃধা) জাপা থেকে বহিষ্কার করেন তিনি, যা অবৈধ। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ