পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাপানের বিদায়ী অ্যাম্বাসেডর ইতো নাওকি বলেন, বাংলাদেশের সাথে জাপানের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘ ৫০ বছরের। আরো বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। জাপান বাংলাদেশের সাথে ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট সই করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে চায়। বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রায় জাপান পাশে থাকবে।
গতকাল সোমবার ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সইয়ের লক্ষ্যে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা আরম্ভকরণ বিষয়ে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত এ সব কথা বলেন।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য এবং উন্নয়ন সহযোগী। বিগত ৫০ বছর জাপান বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। জাপান এখন বাংলাদেশের বড় রফতানি বাজার। দু’দেশের বাণিজ্য দিনদিন বাড়ছে। বাংলাদেশে জাপানের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। অতিসম্প্রতি জাপান নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় স্পেশাল ইকোনমিক জোনে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে। বিভিন্ন দেশের সাথে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। জাপানের সাথে ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ) অথবা ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্টের (ইপিএ) মতো মুক্তবাণিজ্য চুক্তি করে সহযোগিতা গ্রহণের প্রয়োজন হবে। সেজন্য বাংলাদেশ জাপানের সাথে এ মুক্তবাণিজ্য চুক্তি সইয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ জাপানে ১ দশমিক ৩৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে, একই সময়ে ২ দশমিক ৪১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। জাপানের বাজারে এখন এক বিলিয়নের বেশি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি হচ্ছে। আগামীতে মুক্তবাণিজ্য সুবিধা পাওয়া গেলে এ রফতানি আরও বাড়বে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ জাপানকে পাশে চায়।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রহিম উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।