পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেয়ামত, শেষ জামানা এবং হযরত ইসা (আ.) বা যিশু খ্রিষ্টের পুনরায় আবির্ভাবের বিষয়ে শুধু মুসলিমরাই বিশ্বাস করে না, বিশ্বাস করে খ্রিষ্টানরাও। বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান সঙ্কটের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মার্কিন খ্রিষ্টান বিশ্বাস করেন যে, পৃথিবীর শেষ সময় বা কেয়ামত সঙ্ঘটিত হওয়ার সময়টি খুব কাছে চলে এসেছে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক একটি জরিপ অনুসারে, ১০ জনের মধ্যে ৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন খ্রিষ্টান বিশ্বাস করেন যে, মানুষ বর্তমানে বাইবেলে বর্ণিত কেয়ামতের প্রাক্কালের সময়টিতে বসবাস করছে। করোনাভাইরাস মহামারি এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং অন্যান্য সঙ্কটকে অনেকেই ধর্মে বর্ণিত কেয়ামতের আলামত বলে বিশ^স করেন। যদিও এটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে যে, কেয়ামতের আগে যীশুখ্রিষ্ট মানবিক বিপর্যয়ের সর্বোচ্চ স্তরে আবির্ভূত হবেন, নাকি সভ্যতার অতি উন্নত পর্যায়ে আবির্ভূত হবেন, তবে, সার্বজনীনভাবে সবাই একমত যে, কেয়ামত সন্নিকটে এবং শেষ বিচারের আগে অবশ্যই পৃথিবীতে আবারও যীশু খ্রিষ্টের আবির্ভাব ঘটবে।
পিউ জরিপ বলছে, ৪৭ শতাংশ মার্কিন খ্রিষ্টান বিশ্বাস করে যে, শেষ বিচারের দিন আসন্ন। এদের মধ্যে ২৭ শতাংশ ক্যাথলিক এবং ৫৫ শতাংশ প্রোটেস্ট্যান্ট মনে করে যে আমরা সবাই শেষ জামানায় বাস করছি। এসব মতামত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপশ্চিমাঞ্চলে ৩৭ শতাংশ, দক্ষিণে ৪৮ শতাংশ, পশ্চিমে ৩১ শতাংশ এবং উত্তর-পূর্বে ৩৪ শতাংশ। বাইবেলে বর্ণিত শেষ জামানা সম্পর্কে বিশ্বাস রিপাবলিকান এবং রিপাবলিকান-পন্থিদের মধ্যে এবং সেইসাথে প্রতিষ্ঠানিকভাবে তুলনামূলক কম শিক্ষিতদের মধ্যেও বেশ শক্তিশালী। যীশু সম্পর্কে মার্কিন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ৫৫ মতাংশ মনে করে যে, তিনি কোনো এক সময়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। উপরন্তু, ৯২ শতাংশ ইভানজেলিকাল এবং ৮৬ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ প্রোটেস্ট্যান্টদের মধ্যে এ বিশ্বাস আরো দৃঢ়।
শুধু করোনা মহামারিই নয়, যা ভাবতে বাধ্য করেছে যে, পুথিবীর মানুষ শেষ জামানায় বসাবাস করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য সঙ্কট ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এসব সঙ্কটের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল চলমান আবহাওয়া বিপর্যয়। যে খ্রিষ্টান ধর্মগুরু এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন, তিনি হলেন পোপ ফ্রান্সিস-১। ২০২১ সালে তিনি সতর্ক করে বলেন যে, বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে ঈশ্বর যেমন পৃথিবীকে পরিষ্কার করার ইচ্ছার কারণে ৪০ দিন এবং ৪০ রাতের জন্য একটি বিশাল বন্যা সৃষ্টি করেছিলেন, তিনি তা আবারও খুব ভালভাবে করতে পারেন। বাইবেলের বন্যা যেমন মানবজাতির উদাসীনতা এবং পাপী মনোবৃত্তির দ্বারা উদ্ভূত হয়েছিল, ঠিক তেমন এ নতুন বন্যাও, বিশেষত মানুষের পাপাচার এবং এ গ্রহটির প্রতি উদাসীনতার কারণে চলমান আবহাওয়া সঙ্কটের থেকে বাহিত। তবে, এ বিশ^াসের কোনো ইতিবাচক প্রভাব পৃথিবীকে ধ্বংসকারী সঙ্কটগুলোর বর্তমান ধারাবাহিকতার ওপর হচ্ছে কিনা, তা প্রমাণ সাপেক্ষ। সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।