Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রেজরের কিনারে বাংলাদেশ

অভিনাশ পালিওয়াল, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:৫২ পিএম | আপডেট : ৩:৫৪ পিএম, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২

লেখক অভিনাশ পালিওয়াল- এসওএএস ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের একজন শিক্ষক, ‘মাই ইনিমিস এনিমি: ইন্ডিয়া ইন আফগানিস্তান ফ্রম দ্য সোভিয়েত ইনভেসন টু দ্য ইউএস উইথড্রল’ বইয়ের লেখক। তার এই লেখাটি ১০ই ডিসেম্বর অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত। নিবন্ধটি দৈনিক মানবজমিন থেকে সংগৃহীত।

বাংলাদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও সহিংসতা এতটাই নিয়মিত যে, সরকারের বিরোধীদের বিরুদ্ধে চলমান দমনপীড়নকে যেকোনো কিছু হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কিন্তু নির্বাচনকেন্দ্রিক শোরগোল বিস্তৃত হতে পারে। বিরোধী বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করেছে। এই সরকার ব্যবস্থা স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে। তাদের এই দাবির প্রেক্ষিতে সরকার প্রধান ক্ষুব্ধ প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন- কখনো তিনি আর ‘আগুন সন্ত্রাসীদের’ ক্ষমতায় আসতে দেবেন না। এটাই হলো বাংলাদেশের সূক্ষ্ম রাজনীতি। এরই মধ্যে পশ্চিমাদের সমালোচনা, সম্প্রতি দূত পর্যায়ে যৌথ বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে নীরব রয়েছে ভারত ও চীন।

কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে, যেমনটা ২০০৯ সালের পর আর প্রত্যক্ষ করা যায়নি। এই ‘ওল্ড স্কুল’, সুপরিচিত দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মধ্যে উচ্চমাত্রায় উত্তেজনা এবং রাজনীতিকীকৃত একটি সংস্থার উত্তেজনা থেকে যে সিগন্যাল পাওয়া যাচ্ছে তা অপ্রত্যাশিত। এই সংকেত গভীর গোলমালের ইঙ্গিত দেয়।

একটি বিষয় হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিষয়ে জনগণের হতাশা অনেক বিস্তৃত ও গভীর।

তা এতটাই যে, তাদের ভেতর থেকে দমনপীড়নের ভয় সরে যাচ্ছে। দ্বিতীয় বিষয় হলো, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, সরকারের প্রধান মিত্ররা নির্বাচনের খরচের উৎস সংকুচিত হয়ে আসায় অপশন পুনর্বিবেচনা করছেন। তৃতীয়ত, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি- কারও এই অর্থনৈতিক সংকটকে সমাধান করার কোনো উত্তর নেই এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণের কোনো উপায় নেই। বিএনপি’র এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে সমাবেশে বিস্ময়করভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। কিন্তু ঢাকায় বিএনপি’র গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা- দৃষ্টি সেদিকে নিবদ্ধ হয়েছে। এতে তাদের আগের ধারাবাহিক সমাবেশগুলোকে উপেক্ষা করা হয়েছে। সরকার গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ার পরও এসব জনসভা হয়েছে। এমনকি এই জনসমাবেশ হয়েছে আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটিতে। এর মধ্যে আছে খুলনা ও ফরিদপুর।
সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মৃত বলে বিবেচনা করা হতো। কীভাবে তারা এত গণসমর্থন পেলো? কারণ, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সরকারের বিরুদ্ধে বৈসদৃশ এক অভিযোগের ‘ব্রোকার’ হিসেবে বিস্ময়করভাবে আবির্ভূত হয়েছে তারা।
সর্বোপরি বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নতিকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয় এবং বিশ্বজুড়ে তা সেলিব্রেট করা হয়েছে। কিন্তু তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পদের পুনর্বণ্টন এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপান্তরকে বোঝায় না। এটা সবসময়ই সামষ্টিক অর্থনীতির সমস্যা। এ সমস্যা প্রতিনিয়ত দুর্নীতিগ্রস্ত দল এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক ক্ষতি ডেকে আনে, যা ছিল বর্তমান সরকারের ‘অ্যাকিলিস হিল’ বা ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। এ কারণেই সরকারের বাস ও ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও জনগণ নৌকায় চড়ে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে যোগ দিয়েছেন খুলনার র‌্যালিতে। যা বিএনপি’র একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
এ ঘটনাগুলো যদি বিরোধীদের উজ্জীবিত করে, তাহলে সরকার আরও ক্ষুব্ধ হতে পারে। এতে আরও পুলিশি দমনপীড়ন চলতে পারে, মিডিয়াকে আরও ভীতি প্রদর্শন করা হতে পারে। এটাই ঢাকার সমাবেশকে বিপজ্জনক করে তুলেছে: এখানে সরকার দুটি উপায়ই হারানোর ঝুঁকিতে থাকবে। সরকার প্রধান যদি প্রতিবাদ বিক্ষোভ ভেঙে দিতে শক্তি প্রয়োগ করেন, তাহলে তিনি আরও মানুষকে বিরোধীদের দিকে ঠেলে দেবেন। কিন্তু যদি এসব প্রতিবাদ বিক্ষোভে বাধা না দেন, তাহলে তাতে সরকার প্রধানের ‘স্ট্রংপারসন’ ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে পারে। এতে বিরোধীদের রাজনৈতিক গতি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এটা হলো একটি ক্ল্যাসিক ট্রাপ বা ফাঁদ। এক্ষেত্রে সরকার ও তার মিত্রদের কাছে প্রশ্ন হলো- মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে কি মুখ রক্ষা করা যায়? যদি না যায়, তাহলে কি সরকার আরও আগ্রাসী হয়ে উঠবে?

এর উত্তর রয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনীতির ভেতরে। করোনা মহামারির পর ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন- এই দুটি হতাশাজনক আঘাত ঢাকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে অন্যদিকে নিয়ে গেছে। সমঝোতাকৃত প্রতিষ্ঠানগুলোর মডেল, মৌলিক সমাজকল্যাণে খরচ বৃদ্ধি এবং বিরোধী ও মিডিয়াকে নীরব থাকতে বাধ্য করা, এই সামষ্টিক অর্থনীতির কাহিনী শিগগিরই অথবা পরে নতজানু হয়ে যাবে। কিন্তু এসব বাহ্যিক ধাক্কা এবং সময়কালের হতাশা বিরোধীদের শক্তিকে আরও অনেকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে প্রমাণিত হচ্ছে। আর্থিক সংকোচন এখনো কোনো বৈদেশিক ঋণ সংকট নয়। কিন্তু কৃচ্ছ্রতাসাধনের পদক্ষেপগুলো শুধুই জীবনধারণের পরিস্থিতিকে আরও নাজুক অবস্থায় নিয়ে যাবে। উপরন্তু ব্যাংকিং খাতের সংকট সরকারের অভ্যন্তরীণ পৃষ্ঠপোষকতার নেটওয়ার্ককে জটিল করে তুলছে রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকার ক্ষেত্রে।

এ নিয়ে চাপের লক্ষণ বোঝা যায় ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের কয়েক বিলিয়ন ডলার ঋণ গ্রহণ থেকে। কেন এই গ্রুপ সিঙ্গাপুরে হোটেল এবং মল কেনার জন্য বিপুল লোন নেবেন যখন দেশের অর্থনীতি তীব্র সংকটের মুখোমুখি? এই পদক্ষেপটি বাংলাদেশের আর্থিক ভবিষ্যৎকে একটি একক ফার্মের সঙ্গে সম্পর্কিত করে এবং শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক পতনের দিকে ইঙ্গিত দেয়। তদন্তের অধীনে থাকা এই মামলা নানা সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু তার কোনোটিই আশাব্যঞ্জক নয়। যদি এস আলম গ্রুপ অনুমতি নিয়ে এটি করে থাকে, তবে এটি একটি ‘এক্সিট লোন’ হতে পারে। এটি অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তোলার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু যদি অনুমোদন ছাড়াই এটি ঘটে থাকে তাহলে এখানে ব্রুটাসের মতো বিশ্বাসঘাতক রয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন আসে, বিএনপি যদি কোনোভাবে ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা কি করতে পারবে! এখানেই গল্পটি আরও জটিল হয়ে ওঠে। মূলত সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক মাত্রায় জনমত বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপি পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। তাদের জনসভার অপ্রত্যাশিত সাফল্য দলটিকে এর নির্বাসিত নেতা তারেক রহমানের পেছনে ঐক্যবদ্ধ করেছে। অসুস্থ খালেদা জিয়ার প্রতি জনসমর্থন এখনো অক্ষত রয়েছে।

বিএনপি ক্ষমতায় এলে নিজের রাজনৈতিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে যাতে করে আরও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা যায়। দলটি প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা বা গণতান্ত্রিক শক্তিশালীকরণে কাজ করবে এমন সম্ভাবনা কম। আবার মাঝামাঝি সময়ে এটি ইসলামপন্থার দিকে মোড় নিতে পারে। অর্থনৈতিক অস্থিরতার রাজনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা করতে বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে।
অনিবার্যভাবেই বাংলাদেশের ইতিহাস এভাবে পুনরাবৃত্তি হয়ে চলবে, যা বর্তমান মুহূর্তটিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। ভারতের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে বাংলাদেশে ঝড়ের পরবর্তী সময়ে পর্দার অন্তরালে হস্তক্ষেপের গুরুতর প্রয়োজন রয়েছে। যদি বর্তমান পন্থা কাজ না করে তবে বিরোধীদের সঙ্গে নয়াদিল্লির যোগাযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশলের প্রয়োজন হতে পারে। বাংলাদেশিদের জীবন-জীবিকা ও আশায় মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটুক সেটা কখনো এই উপমহাদেশের দেশগুলো চায় না। কারণ, এটি শুধুমাত্র পূর্বদিকে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক সমস্যাকেই বৃদ্ধি করবে। ভারতের পূর্বাঞ্চলে স্থানীয় সহিংসতা এবং চীনের অনুপ্রবেশ নয়াদিল্লির ভূ-রাজনৈতিক আকাক্সক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করে চলেছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মূল নিবন্ধ: https://indianexpress.com/article/opinion/columns/bangladesh-razor-edge-india-looming-economic-crisis-political-instability-8317080/



 

Show all comments
  • saifulalam ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:১৪ পিএম says : 0
    জনগণ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে আমাদের শাসক দলের কখনও তাদের মনে ইতিবাচক মনোভাব পোষণের ধারণাটা অমূলক থেকে যায় তার চরম মতদ্বৈধতা সত্বেও সান্তি পথে এগিয়ে যেতে চাই না তার চরম বিষাদ অসহায় জনগণকে ভোগ করতে হয়
    Total Reply(0) Reply
  • কুদ্দুস তালুকদার ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:০০ পিএম says : 0
    ভারতের গোলামি বেশি আওয়ামীলীগ করে... আর ভারত ও আশে পাশের দেশের বিষয় নিয়ে বারাবারি করে... যার করনে ভারতকে এশিয়ার কোনোদেশ এখন আর ভালে পাইনা
    Total Reply(0) Reply
  • Gias Uddin Gias Uddin ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:০১ পিএম says : 0
    India was not important before 2000.but after 2000 india is big factor due to our politician they are each to other not trust. india taking this opportunity. but majority Bangladeshi not like indian policy.
    Total Reply(0) Reply
  • Syed Jahangir ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৩৯ পিএম says : 0
    যার জন্য যাদেরকে নিয়ে রাজনীতি। সেই রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সাধারণ জনগন গতকাল ১০ই ডিসেম্বর কোথায় ছিল? কি অবস্থায় ছিল? শাসক দল আওয়ামী লীগ তাদের কোথায় নিয়ে দাড় করিয়েছিল? একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের স্বাভাবিক রাজনৈতিক চর্চার অধিকার ও ধারাবাহিক কর্মসূচি পালনের অংশ ছিল গতকালের ঢাকায় ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ। এটিকে বিরোধী মতাদর্শের কোন একক দল বা দলীয় জোটের সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখতে পেলেও সরকারী দল সরকারের সকল প্রশাসন যন্ত্র ব্যবহার করে গত তিনদিনের অগণতান্ত্রিক ও অরাজনৈতিক পন্থায় বাধা প্রদানের চেষ্টার সর্বশেষ কৌশল প্রয়োগ করে গতকাল দেশব্যাপী যে ভীতিকর ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল এবং জনগন গতকাল যে উৎকন্ঠা ও উত্তেজনা নিয়ে দিন কাটিয়েছে তার দায় একান্তই কি শাসকদল বা সরকারের নয়? সরকারের এই আচরণই সরকারের অতিত কর্মকাণ্ডের মুল্যায়নে জনগনকে গতিপথ দেখাবে। সরকার বা শাসকদল ও বিরোধী মতাদর্শের দলগুলোর ভবিষ্যৎ রচনায় অগ্রণী ভুমিকা রাখবে। আমার মত নগন্য ও রাষ্ট্রের একজন অতি সাধারণ নাগরিক গতকালের দৃশ্যমান পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ শেষে একটি কথাই বলতে পারি--, গতকাল যা হয়েছে ভাল হয়নি। উচিৎ হয়নি। গতকাল ১০ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাসের বিজয় দিবসের নিকটবর্তী স্বাভাবিক একটি দিন হওয়াই উচিৎ ছিল ভাল ছিল।
    Total Reply(0) Reply
  • Nimon Khan ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৪৬ পিএম says : 0
    সৈরাচার নিপাত যাক, গনতন্ত্র মুক্তি পাক,
    Total Reply(0) Reply
  • Abdus Salam ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৪৭ পিএম says : 0
    ভোট চোরের দুঃশাসনের কালে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, নির্বাচন কমিশন ভোট চুরি বন্ধ করতে পারবে না, প্রয়োজন নির্বাচন কালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, তবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে, মনে রাখতে হবে সংবিধান পরিবর্তনশীল
    Total Reply(0) Reply
  • Tutul ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:৫৪ পিএম says : 0
    সুন্দর লেখেছেন
    Total Reply(0) Reply
  • aman ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৩:৫৫ পিএম says : 0
    যথার্থই লিখেছেন স্যার
    Total Reply(0) Reply
  • Kamrul Islam Likhon ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৫৯ পিএম says : 0
    Our bad luck that we have not acheived freedom. Indian makes decision who will get chair of power. Public has no power no right to choice political leaders
    Total Reply(0) Reply
  • Orchi Tashneem ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:২২ পিএম says : 0
    AWAMILIG/BNP 2 Political Partys are thinking about themselves only. They don't think about general public. At the time of election they fight with each other and public faces problem.
    Total Reply(0) Reply
  • Rahul Ariyan ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:২৩ পিএম says : 0
    মানুষ তার কর্মফলে এড়িয়ে যেতে পারে না বিএনপি এই দশার জন্য বিএনপির অতীত কর্মকান্ড দায়ী তারা কম অত্যাচার করে নাই যার ফল এখন তারা পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ যা করছে তার ফলও তারা ২ দিন আগে বা পরে
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ অপূর্ব ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:২৪ পিএম says : 0
    সমস্যা আওয়ামী লীগ যা বিএনপি ও তা। বিএনপি এখন এত আন্দোলন, প্রতিবাদ করে গদিতে গিয়ে যা করবে তা হল নিজেদের ফ্রাস্ট্রেশন মেটানো। এরপর তাদের সাথে আছে মহান জামাত। তারা আবার ধরে ধরে মুক্তচিন্তার বুকে সেইফলি ছুড়ি বসাতে পারবে। অবশ্য এখনও যে একদম ফাটিয়ে মুক্তচিন্তা হচ্ছে তা না। আসলে বাংলাদেশ কখনোই কোন রাজনৈতিক দলের কাছে সেইফ না। কারন আমরা নিজেরাই নিজেদের নৈতিকতার জায়গায় প্রশ্নবিদ্ধ! জনগন যেমন লিডারও তেমন।
    Total Reply(0) Reply
  • Hossain Mohammed Farhad ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৫৯ পিএম says : 0
    আমাদের রাজনীতিতে তাদের কেন এত মাথা ব্যাথা।আর আমাদের রাজনীতিবিদরা কেন তাদের ধারস্ত হবে।লজ্জা হয় না তাদের। আমাদের জনগন তাদের হুকুম কেন মেনে নেবে।আরও একবার জেগে উঠো বীর সেনারা।পরাস্ত কর আমাদের দুশমনদের।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Alam ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:২০ পিএম says : 0
    সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে এই চিন্তা করে রাস্তায় বিএনপির সমাবেশ করতে দেয়নি, কিন্তু আমরা যা বাস্তব রূপে দেখলাম পুলিশ মানুষকে যত হয়রানি করেছে তা মোটেও সহ করার মত নয়
    Total Reply(0) Reply
  • Belal Uddin Saikat ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:২৪ পিএম says : 0
    আওয়ামী লীগ বা বিএনপি চিনি না, একটা গনতান্ত্রিক সরকার চাই যারা জনগণের হয়ে কাজ করবে। নাগরিকের সম্পুর্ন অধিকার চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Kayes Mohd ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:২৫ পিএম says : 0
    Now this situation india should give backup to others perty...awami League no longer in power..this will happening every months untill bal leave country...
    Total Reply(0) Reply
  • Mijan Bin Saeed ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৬:০২ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত মোটেই গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল যদি ভারতকে আমলে না নেয় তাহলে এদশের রাজনীতিতে ভারতের কোন প্রভাবই থাকতো না। মূলত এই দল দুটোই ভারকে গুরুত্বপূর্ণ সাজিয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Murshid Shalin ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৩৮ পিএম says : 0
    ইণ্ডিয়ান এক্সপ্রেসে অভিনাশ পালিওয়াল কেন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্দার আড়ালে ভারতীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছেন? তারাতো চাইলে পর্দার সামনেই সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে।
    Total Reply(1) Reply
    • Harunur Rashid ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:১১ এএম says : 0
      This is the color of Mushrik .
  • MD Rakib mia ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৪৫ পিএম says : 0
    বিএনপি'র পার্টি অফিস ও নেতা কর্মীদের ওপর ১৪ বছর ধরেই তো নির্যাতন জুলুম মামলা হামলা পুলিশ দিয়ে নেতাকর্মীদেরকে হত্যা এরপরও বিএনপি'র একটু জনপ্রিয়তা কমাতে পারেনি লীগের এমনভাবে পতন হবে যা ইতিহাসের কোন স্বৈরশাসকের পতন হয় নাই এখন লীগের বাঁচা মরার লড়াই যদি পতন হই আগামী 50 বছর বাংলাদেশে রাজনীতি করার যোগ্যতা পাবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Iftu Sultan ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৪৪ পিএম says : 0
    ধন্যবাদ, সত্যি টা তুলে ধরার জন্য, সংবাদ পত্র ও সাংবাদিকরা সঠিক তথ্য সরবরাহ করলে জনগণ জানবে দেশের অর্থনীতির কি অবস্থা, কি ভাবে লুটপাট করছে লুটেরা,
    Total Reply(0) Reply
  • Imran Sheikh Immu ১১ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৪৬ পিএম says : 0
    বিগত দিনে বিএনপি বা বিরোধী দলের আন্দোলনের খবর বিভিন্নভাবে লিক হয়ে সরকারের কাছে চলে যেত। কিন্তু এবার আমার মনে হচ্ছে বিএনপির মহাসমাবেশ ও তাদের পরবর্তী কার্যক্রমের কোন নিউজ সরকার পাচ্ছে না । যাতে করে সরকার প্রচন্ড ভয়ে পড়েছে । আর প্রচন্ড ভয়ের মধ্যে থাকা একজন মানুষ যেরকম দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে একেক সময় একেক উল্টাপাল্টা কাজ করে । আওয়ামীলীগ ও সেইম কাজ করতেছে। আওয়ামী সরকার ও তাদের পেটোয়া বাহিনী পুলিশের গুম,খুন,দুর্নীতি সহ জগণ্য সব ফ্যাসিবাদী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ