Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়ার অনুমোদন ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষ হবে

| প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ এবং ওষুধ তৈরি, বিক্রি ও আমদানিতে আরও বেশি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় একটি নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের সুযোগ তৈরি করে জাতীয় ওষুধ নীতি অনুমোদন করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘জাতীয় ওষুধ নীতি, ২০১৬’ এর খসড়া অনুমোদন পায়। সরকার এখন এ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করবে।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, এই কর্তৃপক্ষের নাম হবে ‘জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ’ (এনআরএ)। এই কর্তৃপক্ষ ওষুধের মান থেকে শুরু করে কাঁচামাল ও অন্যান্য সরঞ্জামের মান দেখবে।
তিনি বলেন, এখন ১২২টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ যাচ্ছে।  যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানি করছে। এসব দেশের গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি) এই ওষুধ নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এদিকে স্কয়ার, ইনসেপ্টা ও বেক্সিমকোর মতো কোম্পানি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সনদ পেয়েছে। ফলে মান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ২০০৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় ওষুধ নীতি করা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে অনেক কিছুর পরিবর্তন হওয়ায় নতুন করে এই নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।
সচিব বলেন, নতুন ওষুধ নীতির আওতায় বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা সংশোধন করা হবে। ‘কার্যকর, নিরাপদ ও মানসম্পন্ন’ ওষুধের সহজলভ্যতা এবং ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সব ওষুধ নিবন্ধন করতে হবে। এছাড়া নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ প্রস্তুত, বিক্রি ও বিতরণ রোধসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে নীতিতে বিস্তারিত বলা রয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান।
তিনি বলেন, ওষুধ নির্বাচন, পরিমাণ নির্ধারণ, ওষুধ সংগ্রহ, মুজদ ও বিতরণ; ওষুধের বিজ্ঞাপন ও প্রচার নিয়ন্ত্রণ, স্বচ্ছ ও যৌক্তিকভাবে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ, দেশে নতুন প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞান স্থানান্তর, ওষুধ গবেষণা উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার বিষয়েও নীতিতে বলা হয়েছে।
সরকার জনস্বার্থ বিবেচনা করে ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা নিয়মিত হালনাগাদ করবে জানিয়ে শফিউল বলেন, প্রতি বছর অন্তত একবার ওষুধের মূল্য তালিকা হালনাগাদ করে জনগণের অবগতির জন্য সব ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে খুচরা মূল্য প্রকাশ করা হবে। কেউ ওষুধের অতিরিক্ত দাম নিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানবসম্পদ উন্নয়নে
তহবিল হচ্ছে
দক্ষতা উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে অতিরিক্ত অর্থায়ন নিশ্চিত করতে ‘জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল’ গঠন এবং ‘ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এনএসডিএ) নামে নতুন একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার কাজে সায় দিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থ বিভাগের অধীনে ‘জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল’ গঠন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে এনএসডিএ নামে ‘লিগ্যাল অথরিটি’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, নতুন ওই কর্তৃপক্ষ গঠন করতে একটি আইন করা হবে। আর স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য করা হচ্ছে জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল। তহবিলের আকার কেমন হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি প্রকল্প থেকে শুরুর দিকে অর্থায়ন করা হবে। পরে আরও ডেভেলপ করা হবে। এখানে অনেক রকমের সোর্স আসার সুযোগ আছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের মধ্য দিয়ে জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হল জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, অথরিটির জন্য আইনের খসড়াও তৈরি হয়ে গেছে।
বৈঠকে কস্ট এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট এ্যাক্ট-২০১৬ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিদ্যমান কস্ট ও ম্যানেজমেন্ট আইন-২০১৬ যুগোপযোগী করে এতে অবৈধ ও প্রতারণামূলক কর্মকা-ের জন্য আরো কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে নতুন আইনে। নজরুল ইনস্টিটিউট আইন-২০১৬ ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন-২০১৬’র খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ