Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীতে বিস্ফোরক দ্রব্যের ছড়াছড়ি

দুই মাসে দেড়শ’ কেজি উদ্ধার

| প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পুরান ঢাকাতে বিস্ফোরক দ্রব্যের ছড়াছড়ি। গত দুই মাসে ওই এলাকা থেকে দেড় শতাধিক কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল পুরান ঢাকার ওয়ারী থানা এলাকা থেকে ২০ কেজি বিস্ফোরকদ্রব্যসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে ওয়ারী থানা পুলিশ। তার নাম মজিবর মল্লিক (৪৫)। রোববার রাতে ওয়ারীর সানাই কমিউনিটি সেন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে ওয়ারী থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে ১০ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে ৫২ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, পুরান ঢাকার চকবাজার থেকে ৫২ কেজি বিস্ফোরকসহ একজন এবং পৃথক ঘটনায় ৩৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশে জানায়, ১০ ডিসেম্বর দিবাগতরাতে বরিশাল লঞ্চঘাটের সামনে থেকে ৫২ কেজি বিস্ফোরকসহ রকিবুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
চকবাজার থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, ওই দিন দিবাগত রাতে লঞ্চঘাট থেকে এক ব্যাগভর্তি বিস্ফোরকসহ রকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি চুয়াডাঙ্গা থেকে বিস্ফোরক ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রকিবুল পুলিশকে জানান, চকবাজারে বিক্রির জন্য এই বিস্ফোরক তিনি ঢাকায় এনেছেন। উপাদানগুলো বিস্ফোরক দ্রব্য তৈরির কাঁচামাল। রকিবুল শুধু বিক্রির জন্য বিস্ফোরক ঢাকায় এনেছিল বলে দাবি করেছেন। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গি সংগঠনের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরকের উৎস, ক্রেতা এবং অন্য কোনো উদ্দেশে ঢাকা আনা হয়েছিল কি না তা জিজ্ঞাসাদের জন্য তার রিমান্ডে নিলেও তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
এর আগে পুরান ঢাকার চকবাজার ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় দুটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ৬৫ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। অবৈধভাবে এসব বিস্ফোরক বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলোÑ এনামুল হক ও সাইফুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, ওইদিন রাত ৮টার দিকে চকবাজার এলাকার একটি দোকানে গোপন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় চকবাজার থানা পুলিশ। ওই দোকান থেকে ৫০ কেজি বিস্ফোরক জব্দ করা হয়। পাশাপাশি এসব বিস্ফোরক বিক্রির সঙ্গে জড়িত এনামুল হককেও গ্রেফতার করা হয়। একই রাতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেট-সংলগ্ন একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে। সেখান থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা বিস্ফোরক দিয়ে কয়েক হাজার ককটেল ও হাতবোমা তৈরি করা সম্ভব বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে ২০১১ সালে ১৯ ডিসেম্বর পুরান ঢাকা থেকে ৩ ট্রাক বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোÑ স্বর্ণা দত্ত, দিপু ও কালা চান। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও আজ পর্যন্ত জানা যায়নি কি উদ্দেশে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য রাজধানীতে আনা হয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতয়ালি থানা পুলিশের একটি দল পুরান ঢাকার ঠাটারি বাজার এলাকায় ৬টি ভবনে অভিযান চালিয়ে ৩ ট্রাক ভর্তি বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ