পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ ১০ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এদিনে পাকহানাদার বাহিনীর হাত থেকে ময়মনসিংহের দামাল ছেলেরা নিজ জেলাকে মুক্ত করেন। একই দিনে পাকবাহিনীকে পর্যুদস্ত করে মাদারীপুর, ভোলা ও নড়াইলকে শত্রæমুক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালে ধ্বংসযজ্ঞ শেষে ৮ ডিসেম্বর যখন পাক হানাদার বাহিনী মাদারীপুর ছেড়ে যাচ্ছিল তখন মুক্তিযোদ্ধারা বিস্ফোরক দিয়ে এই ব্রিজটি উড়িয়ে তাদের আটকে দেয়। এরপর টানা ৩ দিনের যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী, পাকিস্তানী সেনাদের কোণঠাসা করে আত্মসমর্পণ করাতে বাধ্য করে। কিন্তু ৩ দিনের সম্মুখযুদ্ধে পাকবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন জেলার সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ১৪ বছর বয়সী সারোয়ার হোসেন বাচ্চু। ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যার আগে পশ্চিম আকাশে সূর্য যখন অস্তগামী তখনই মুক্ত হয় মাদারীপুর।
২৭ মার্চ থেকে ময়মনসিংহে ইপিআর, পুলিশ এবং আনসার-মুজাহিদ বাহিনীর বাঙ্গালী সদস্যরা খাগডহর এলাকার তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প দখলে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ময়মনসিংহ অঞ্চল মুক্তিবাহিনীর হাতে থাকলেও পরে তা চলে যায় পাক সেনাদের হাতে। এরপর সবপন্ড খন্ডভাবে যুদ্ধ হলেও ৩ ডিসেম্বর থেকে ময়মনসিংহের চতুর্দিক ঘিরে ফেলে মুক্তিযোদ্ধারা। ১০ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাস্ত হয়ে ঢাকার দিকে পালিয়ে যায় পাক সেনারা।
১২ এপ্রিল থেকে দোসরদের সহযোগিতায় ভোলার বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় পাকবাহিনী। দীর্ঘ ৮ মাসের যুদ্ধ শেষে ১০ ডিসেম্বর মুক্ত হয় ভোলা জেলা। মুক্ত মাতৃভ‚মিতে বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে ভোলা জেলার মানুষ।
১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে নড়াইলে অবস্থান নেয়ার পর গণহত্যা শুরু করে পাকবাহিনী। এসময় জেলার অস্ত্রাগারের তালা ভেঙ্গে অস্ত্র সংগ্রহ করে প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু করে মুক্তিযোদ্ধারা। আস্তে আস্তে হানাদার বাহিনীর সবগুলো ঘাটি দখলে নেয় তারা। সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর তৎকালীন পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে গেরিলা আক্রমণের মধ্যদিয়ে শত্রিমুক্ত হয় নড়াইল জেলা।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।