পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, তারা (বিএনপি) চেয়েছেনই গোলাপবাগ মাঠ, আমাদের কমিশনার স্যারও তাদের গোলাপবাগ মাঠেই সমাবেশের অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকেলে মিন্টুরোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিএনপিকে কোন বিবেচনায় গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, গতকাল যখন তাদের সঙ্গে কমিশনার স্যারের নেতৃত্বে আমাদের কথা হয়, তখন তারা দুটি ভেন্যুকে চয়েস করেছিলেন। একটি কমলাপুর স্টেডিয়াম, আরেকটি মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠ। কিন্তু আবার আজকের আবেদনে তারা মিরপুর বাঙলা কলেজ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের কোনোটাই চাইলেন না, চাইলেন গোলাপবাগ মাঠ। এ বিষয়ে তারা কাগজ জমা দেওয়ার পর কমিশনার স্যারের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে গোলাপবাগ মাঠেই সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এসময় শর্তের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, আগের ২৬টি শর্তই থাকবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য সেখানে রয়েছেন। পোশাকে ও সাদাপোশাকে অনেক পুলিশ সেখানে কাজ করবেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঘিরে যেভাবে আমরা নিরাপত্তাবলয় তৈরি করেছিলাম, সেই নিরাপত্তাটি এখন আমরা গোলাপবাগ মাঠে দেব। আমাদের টিম এ বিষয়ে অলরেডি কাজ করছে, আশপাশের এলাকা তদারকি করছি, যাতে এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোথাও কোনো অরাজকতা তৈরি না হয়। এ লক্ষ্যে পোশাকে ও সাদাপোশাকে পুলিশ কাজ করছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের মতো বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা নাশকতার কোনো চেষ্টা করতে পারে কী না, জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, 'শুনেছি, তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায় এবং সে কারণে তারা গতকালও এসেছেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আজকেও তারা এসে সমাবেশের জন্য কাগজ জমা দিয়ে গেছেন। এতে তারা গোলাপবাগ মাঠেই সমাবেশ করতে চেয়েছেন।'
হারুন অর রশীদ বলেন, আমি মনে করি- তারা একটি সুন্দর সমাবেশ করবে। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা করবে না। আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য চতুঃপার্শ্বে এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে কাজ করবে।
হামলার আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, আমাদের যে সিকিউরিটি প্ল্যান, তাতে আমরা মনে করি না কোনো হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এরপরও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশকে আমরা প্রস্তুত রেখেছি। যাতে দুর্বৃত্তরা এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাতে না পারে। সে লক্ষ্যে সাদাপোশাকে পুলিশ আশপাশের এলাকায় ভ্রাম্যমাণভাবে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমরা আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি এবং আমি মনে করি- তারা আদালতে চলে গেছেন। এখন পর্যন্ত আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো রিমান্ড চাইনি।'
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।