Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাসাইলে ২শ’ একর আবাদি জমি বালুর নিচে

| প্রকাশের সময় : ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বাসাইল (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ঝিনাই নদীর শাখা লাঙ্গুলিয়া নদী দিয়ে প্রবাহিত ¯্রােতের সাথে ভেসে আসা বালি পড়ে বাসাইল পৌর এলাকার অন্তর্ভুক্ত মাইজখারা বিলের প্রায় ২শ একর আবাদি জমি বালুর নিচে। ফলে এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক কৃষি পরিবারের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। জানা যায়, গত বর্ষা মৌসুমে ঝিনাই নদী থেকে ভেসে আসা বালি লাঙ্গুলিয়া নদী দিয়ে মাইজখারা উত্তর বিল, দক্ষিণ বিল, পশ্চিম বিল, সেহরাইলের দক্ষিণ বিল ও কলিয়া পশ্চিম  বিলে পড়ে। এতে পলল গঠিত বেলে দো-আঁশ মাটির তিন ফসল আবাদি জমি প্রায় আড়াই থেকে তিন ফিট বালির নিচে চাপা পড়ে চাষ আবাদের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।  
বালি চাপা পড়া এলাকার অনেক কৃষক এসব জমি থেকে ফসল উৎপাদন করে নিজেদের জীবন চালাত। খাদ্য শস্য উৎপাদনের শেষ সম্বল একচিলতে জমি বালির নিচে চাপা পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। এই জমি আবাদ না করতে পারলে এলাকার কৃষকরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সারা বছর কীভাবে বেচে থাকবে এমন দুশ্চিন্তায় দিন অতিবাহিত করছে তারা।
মাইজখারার কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, আমার ৩ একর জমির উপর বালু পড়েছে। এ জমিতে তিন ফসল আবাদ করা যেতো, কিন্তু এখন সম্পূর্ণ জমি ফসল উৎপাদনের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। একমাত্র কৃষি উৎপাদনের উপর নির্ভর করেই চলে আমার সংসার। আসন্ন বুরো মৌসুমের আগে জমিগুলোর বালি মুক্ত করা না গেলে কোনো প্রকার ফসল আবাদ করা যাবে না। এতে না খেয়ে মরণ ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
কৃষক আতাউর রহমান আতা বলেন, ঝিনাই নদী থেকে ভেসে আসা বালিগুলো লাঙ্গুলিয়া নদী দিয়ে এ বিলে পড়ে প্রায় ২শ একর কৃষি জমি উৎপাদনের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখানে আমারও ২ একর জমিতে বালু পড়েছে।   
সরেজমিন এলাকায় গেলে এ রকম অনেক কৃষক উক্ত জমি থেকে বালু অপসারণ করার সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন। এবং ভবিষ্যতে এলাকার কৃষকের আবাদি জমি যাতে বর্ষায় ভেসে আসা বালিতে গ্রাস করতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি করেন।  
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়মা আক্তার জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল ফারুক জানান, আমি ইতমধ্যেই বালু চাপা পড়া এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। সেহরাইল হইতে পশ্চিম চক পর্যন্ত লাঙ্গুলিয়া নদীর পূর্ব পাশ মাইজখারা এবং কলিয়ার কিছু অংশসহ প্রায় ২শ একর জমিতে বালি পড়ে আবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেহরাইল হইতে পশ্চিম চক পর্যন্ত লাঙ্গুলিয়া নদীর ৪ কিলোমিটার এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলে ভবিষ্যতে এ জমিগুলোতে আর বালি পড়বে না। এখন এ সমস্ত জমি বালি মুক্ত করে আবার চাষাবাদ যোগ্য কওে তোলা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ