পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক ইস্যুতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিচারাঙ্গন। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সমাবেশে সরগরম হয়ে উঠেছে সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা বার।
গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে রাজধানীতে অবস্থিত ২টি বারেই ছিলো রাজনৈতিক উত্তাপ-উত্তেজনা। নয়া পল্টনে বিএনপি অফিসে পুলিশি তাÐব, দুই বিএনপিকর্মীকে হত্যার প্রতিবাদ এবং ১০ ডিসেম্বর আহূত বিএনপি’র গণসমাবেশ সফল করতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। ‘আদালতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি’র প্রতিবাদে পাল্টা মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মুখে ছিলো সরকারবিরোধী সেøাগান। আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের সেøাগান ছিলো, বারবার দরকার- শেখ হাসিনার সরকার।
বেলা পৌনে ১টায় সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি কক্ষের সামনে সমবেত হন আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা। শতাধিক আইনজীবী একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলের অগ্রভাগে অ্যাডভোকেট মমতাজউদ্দিন মেহেদী, অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানাসহ তরুণ আইনজীবীরা। তারা বার ভবনের দোতলা, গ্রাউন্ড ফ্লোর প্রদক্ষিণ করেন। এর ১০ মিনিট পরেই সুপ্রিম কোর্ট বার প্রাঙ্গণে সমবেত হন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সজলের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার খান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন, অ্যাডভোকেট জামিল আখতার এলাহী, ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ অংশ নেন। পরে এখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা হাইকোর্ট মাজার গেট হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বক্তব্যে বলেন, আমরা দৃপ্তকণ্ঠে বলতে চাই, যতদিন পর্যন্ত এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন না হয়- ততোদিন পর্যন্ত আইনজীবীরা ঘরে ফিরে যাবে না। যেকোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের গণসমাবেশ সফল করার আহŸান জানান তিনি।
এদিকে বুধবার বিএনপি কার্যালয় থেকে গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের গতকাল বৃহস্পতিবার পৌনে ১টার দিকে ঢাকার চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। তাদের আদালতে তোলার সময় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। এ সময় আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরাও আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ‘এক হও এক হও, জিয়ার সৈনিক এক হও’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘১০ তারিখের অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ বিভিন্ন সেøাগান দিতে থাকেন। এ সময় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরাও আদালতের সামনে অবস্থান নেন। তারাও ‘বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার’সহ নানা ধরনের সেøাগান দিতে থাকেন। আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা বলেন, বিএনপি যাতে আদালতে কোনো রকমের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে আমরা একত্রিত হয়েছি। যদি তারা কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে কঠোর হাতে দমন করব। অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু, আব্দুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ মিছিলে নেতৃত্ব দেন। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলেন, গতকালের নয়াপল্টনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই সরকারকে যেকোনো মূল্যে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। আমাদের আটক নেতাকর্মীদের অবিলম্বে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে হবে। যদি তা না দেয় তাহলে আমরা আইন অঙ্গণে কঠোর আন্দোলন শুরু করবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।