পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ইসলামিক ব্যাংক লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি’র অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আরো ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ২ ইসলামী ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ব্যাংক ২টি হলোÑ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও গেøাবাল ইসলামী ব্যাংক। দুটোই দেশের বিতর্কিত শিল্প গোষ্ঠী এস আলম গ্রæপের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান। এর আগে নগদ সঙ্কটে পড়া ৫ ইসলামী ব্যাংক তারল্য সহায়তার অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ও গেøাবাল ইসলামী ব্যাংক মঙ্গলবারও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে। এ ছাড়া, বাকি ৩ ব্যাংক হলোÑ সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। এই ৫ ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডই চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রæপের নিয়ন্ত্রণাধীন। গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, ‘ইসলামিক ব্যাংক লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি’র অধীনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধের সময়কাল হবে ১৪ দিন। এই প্রথম এমন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঋণ প্রদানের অনিয়মের অভিযোগের ওঠার পর থেকেই গ্রাহকরা শরিয়াহভিত্তিক এই ব্যাংকগুলো থেকে আমানত তুলে নিচ্ছে। এতে ব্যাংকগুলো চাপ ও তারল্য সঙ্কটে পড়েছে। যদিও ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মাওলা দু’দিন আগেও বলেছেন, সব প্যারামিটারে শক্তিশালী অবস্থানে আছে ব্যাংকটি। ঋণ-আমানত, রেমিট্যান্স যে কোনো বিচারে শক্তিশালী অবস্থানে আছে ইসলামী ব্যাংক। তাই ব্যাংক নিয়ে গ্রাহকদের আস্থার কোনো সঙ্কট নেই এমনটাই দাবি এমডির। তার মতে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ইসলামী ব্যাংক। বিভিন্ন খাতে ব্যাংকটির ঋণ বিতরণের পরিমাণ এক লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা; যা ব্যাংক খাতের বিতরণের ১২ শতাংশের বেশি বলে দাবি মনিরুল মাওলার।
চলতি বছর ইসলামী ব্যাংক নিয়ম লঙ্ঘন করে ৯ কোম্পানিকে ৭ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই অভিযোগ তদন্ত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশে ১০টি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক রয়েছে এবং চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মোট ব্যাংকিং সেক্টরের আমানতের ২৬ দশমিক ১৯ শতাংশই ওই ব্যাংকগুলোতে হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকের আমানত এই বছরের জুন পর্যন্ত ৪ লাখ ১২ হাজার ৩৪১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের জুনের শেষের দিকে পুরো ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের ২৮ দশমিক ৫২ শতাংশ ছিল ইসলামী ব্যাংক থেকে দেয়া। এই ঋণকে ইসলামী ব্যাংক ‘বিনিয়োগ’ বলে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮২৯ কোটি টাকায়, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। গত বছরের তুলনায় এ বছরের এপ্রিল-জুনে ঋণ বিতরণও বেড়েছে।
১০টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক ছাড়াও, বেশ কয়েকটি প্রচলিত ব্যাংকও আমানতকারীদের আকৃষ্ট করতে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং পরিষেবা চালু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বাংলাদেশে ইসলামী আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য ৯টি প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৪৫টি ইসলামী ব্যাংকিং শাখা রয়েছে এবং ১৩টি প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৪৮০টি ইসলামী ব্যাংকিং শাখা রয়েছে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।