পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিভাগীয় সমাবেশের ধারাবাহিকতায় সবশেষে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ করবে আগামী ১০ ডিসেম্বর। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত রাজপথ। ‘সম্ভাব্য নাশকতা’ এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীদের নজরদারিতে রাখাসহ গ্রেফতার অব্যহত রেখেছে। প্রতিদিন চলছে গ্রেফতার। বিএনপির সমাবেশ; অথচ প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতারা বিভিন্ন পয়েন্টে মহরা দিচ্ছে। দু’দিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ৮ ডিসেম্বর থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা পাহারায় থাকবে। এর আগে রাজধানীর দু’টি প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় পৃথক দুটি সমাবেশের পরিকল্পনা করছে দলটি। গতকাল দেখা গেছে যাত্রবাড়ি এলাকায় আওয়ামী লীগের ব্যানারে লাঠি মিছিল হয়েছে। রাজধানী ঢাকার কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে ক্ষমতাসীন দলটির নেতাকর্মীদের মহরা দিতে দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের দিন দলটির নেতা-কর্মীরা ঢাকা শহরকে পাহারায় রাখবে। রাজধানীর প্রবেশের প্রধান সড়ক ও এর আশেপাশের সড়কগুলোতে অবস্থান নেবে। ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের অধীনে ২৬টি থানা ইউনিট, ৬৪টি ওয়ার্ড ও ৮০২টি ইউনিট এবং ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের অধীনে ২৪টি থানা ইউনিট, ৭৫টি ওয়ার্ড ও ৬০৫টি ইউনিটের কার্যালয়ে দলটির নেতা-কর্মীরা সমবেত হবেন।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ইস্যুতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমÐলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সব বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, আক্রমণ আমরা করব না, তবে আক্রান্ত হলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইস্কাটনে জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের কমরেড দিলীপ বড়–য়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারী, জাতীয় পার্টির জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলামসহ জোটের অন্যান্য নেতারা।
বৈঠকে বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলন, সামনে জোটগত জাতীয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন মোকাবিলার কথা বলা হয়।
গতকাল সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৮টায় মধুরক্যান্টিন প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এরপর তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ক্যাম্পাসের টিএসসি এলাকা, শাহবাগ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, পলাশী চত্বর এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মহড়া দেন। ঢাবির হল ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্পট ও তার আশে-পাশের এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান নেন। এর মধ্যে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে অবস্থান নেন ঢাবির জাতির জনক বঙ্গববন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পলাশী গোল চত্বরের পাশে অবস্থান নেয় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগ। শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নেন জসীম উদ্দিন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দোয়েল চত্বরে অবস্থান নেয় ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ হল ছাত্রলীগ, ফজলুল হক হল ছাত্রলীগ, অমর একুশে হল ছাত্রলীগ, নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেয় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রলীগ। নীলক্ষেত মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেয় এফ রহমান হল ছাত্রলীগ। এছাড়াও কেন্দ্রীয় পদ প্রত্যাশী নেতারা হাইকোর্ট মোড়, ধানমন্ডি পার্টি অফিস, ঢাকা মেডিক্যাল মোড়ে অবস্থান নেন। আবার কেউ কেউ ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে মহড়া দেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ। জনগণকে ভয় দেখিয়ে যারা হত্যার রাজনীতি কায়েম করতে চায়, এই বাংলার মাটি থেকে তাদের মূলোৎপাটন করতে হবে।
এদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র জানায়, গোয়েন্দারা নগর ইউনিট থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নজরদারিতে রাখা শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই ডিএমপির আওতাধীন থানাগুলোকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে থাকা গ্রেফতাারি পরোয়ানা কার্যকর করতে এবং অভিযোগে থাকা বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।