পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোনের (বাংলাদেশে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় আড়াইহাজার প্রান্ত থেকে বক্তব্য রাখেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, জাপানের সুমিতমো কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মাসাইউকি হিওদো, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ও জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজসহ অতিথিগণ।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি যখন ১৯৫৪ সালে প্রথম মন্ত্রী হয়েছিলেন তখনই তিনি প্রথম এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে আবারও তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার ব্যাবস্থা নিয়েছিলেন। সেসময় তিনি শ্রম ও বানিজ্যমন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি কলকারখানা জাতীয়করণ করে পুনরায় চালু করেছিলেন। জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল আমাদের কৃষি প্রধান দেশ, পাশাপাশি শিল্পায়নও ঘটবে। জাপান যেভাবে কৃষি নির্ভর দেশ থেকে শিল্পায়ন হয়েছে জাতির পিতা সবসময় জাপানকে দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করতেন। জাপান আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। জাপান সবসময় আমাদের পাশে ছিল। সোনারগাঁ হোটেল, যমুনা সেতু, নির্মাণ এমনকি পদ্মা সেতু নির্মাণেও জাপান সহায়তা করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের অনেক অবদান রয়েছে। আমি জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রথম যখন ক্ষমতায় আসি তখন প্রথম আমরা সৈয়দপুরে ইপিজেড গড়ে তুলি। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের কৃষি জমি রক্ষা করতে হবে পাশাপাশি শিল্পায়নও ঘটাতে হবে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আমরা শিল্পাঞ্চল গড়ার সিদ্ধান্ত নেই যাতে কৃষিজমি নষ্ট না হয়। অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে সাড়া বাংলাদেশে যে সকল জমিতে ফসল কম হয় এমন একশটি জায়গা ৬৪ জেলায় বেছে নেয়া হয়েছে। এতে মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
তিনি আরো বলেন, এখনো আমাদের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে চার থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আমরা উপার্জন করছি। অনেক মানুষ এখানে কাজ করছে। সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রেখেই আমরা এ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গড়ে তুলছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে আমি যখন জাপানে যাই তখনই জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এছাড়াও জাপান আমাদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে দিচ্ছে। আমাদের পঞ্চাশ বছরের বন্ধুত্বের এটি একটি নিদর্শন। আমাদের বন্ধুত্ব অটুট। জাতির পিতা যখন জাপান গিয়েছিলেন তখনই তিনি পদ্মা সেতুসহ নানান বিষয়ে আলোচনা করেন। পদ্মা সেতু আমরা নিজস্ব অর্থায়নে করেছি কিন্তু এখানে জাপানের অনেক অবদান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যারাই এখানে উন্নয়ন করতে আসবে তারা করতে পারবে। আমরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছি। তারা তা ভোগ করতে পারবে। আমাদের ডীপ সী পোর্ট হচ্ছে। নৌপথ ও সড়কপথেও উন্নয়ন হয়েছে। ফলে বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। তরুণরা যেন বিনিয়োগ করতে পারে সেজন্য আমরা নানা কর্মসূচি ও স্বল্প সুদে ঋনের ব্যাবস্থ করছি। পৃথিবীতে বাংলাদেশ বিনিয়োগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা। বিনিয়োগ বান্ধব আইন ও নীতিমালা করেছি বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিসও চালু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা তারপরেও আমাদের জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে পেরেছি। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এমনকি পশ্চিমা দেশগুলোতেও পন্য পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে উত্তম জায়গা বাংলাদেশ। আমাদের দেশের মানুষ আরও বেশি নিজের দেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে আশা করি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। আমাদের দুই দেশের পতাকার মাঝেও মিল রয়েছে। জাপানকে আমি বাংলাদেশের জনগনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।