পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে মনে কোনো দ্বিধা রাখবেন না। সেদিন অবশ্যই ঢাকায় সমাবেশ হবে। সেদিন থেকে মানুষ নতুন স্বপ্ন দেখবে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী কদিন আগে একটি নাটক করেছেন। তিনি কিছু আহত লোককে নিয়ে এসে আবারও ব্লেইমগেম খেলতে চাইছেন। কিছু কিছু অসমর্থিত সূত্র বলছে আমাদের চলমান আন্দোলন বানচাল করতে ২০০ বাস নাকি পোড়ানোর জন্য রেডি করা হয়েছে। ছাত্রলীগ নামধারী নেতাদেরকে রেডি রাখা হয়েছে আমাদের মোকাবিলা করতে। কিন্তু আমরা বলছি সরকার এখন আবার পুরোনো খেলায় মেতেছে। জনগণ আজকে জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাচিত নয়। তারা ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষের ওপর নিপীড়নের স্টিম রোলার চালাচ্ছে। আজকে দেশে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করেছে। মানুষ আজকে সর্বগ্রাসী দানব সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। আজকে জাতির করুন অবস্থা। আমরা এবার মানুষকে নিয়ে বেরিয়েছি। তারাই এবার আমাদের আগে। আমরা পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয়ী হবো।
‘ভায়োলেন্স অ্যান্ড পলিটিক্স অব ব্লেমিং’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা শামা ওবায়েদ ও অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুলের পরিচালনায় সভায় অংশগ্রহণ করেন বিএনপির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মীর মোহাম্মদ নাছির, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদীন ফারুক, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বরকতউল্লাহ বুলু, মো. আবদুস সালাম, ডক্টর এনামুল হক চৌধুরী, ড. শাহিদা রফিক, ইসমাইল জবিউল্লাহ, আব্দুল কাইয়ুম, বিজন কান্তি সরকার, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জহির উদ্দিন স্বপন, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, কাদের গণি চৌধুরী, তাইফুল ইসলাম টিপু, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, তাবিথ আউয়াল, নায়াবা ইউসুফ, এবিএম আবদুস সাত্তার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান ও এসএম শাহাদাত, ডিএল‘র সাইফুদ্দিন মনি, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, এনডিপির ক্বারী আবু তাহের, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম, বাংলাদেশ ন্যাপের এম এন শাওন সাদেকি প্রমুখ।
গোলটেবিল আলোচনায় রাশিয়া, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের দূতাবাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট শিরোনামে একটা প্রবন্ধ পাঠ করেন ডা. সায়ন্থ সাখাওয়াত। এ ছাড়া গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীনদের দ্বারা সহিংসতার ওপর ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।