পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণসমাবেশকে নিয়ে সরকারের কপালে কেন এত দুশ্চিন্তার ভাঁজ? ওবায়দুল কাদের সাহেব’রা কেন এত বিচলিত হয়ে পড়েছেন? আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র অভিলাষী নেতারা গণসমাবেশকে নিয়ে বানোয়াট গল্প প্রচারে নেমেছে। আর এই বানোয়াট গল্পকে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন অতি উৎসাহী হয়ে ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে ‘ক্র্যাকডাউন’ চালাচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী চলছে গ্রেফতার, গ্রেফতারের নামে পুলিশী তল্লাশী, আসবাবপত্র ভাংচুরসহ পরিবারের লোকজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ। এরা গণতন্ত্রকামী জনগণকে দাবিয়ে রাখার জন্য সরকারের রাষ্ট্রীয় দমনযন্ত্রকে ব্যবহার করছে বিএনপি’র ওপর। মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশের কাছে এখন নিরপেক্ষতা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়, বরং দলীয় আনুগত্য গুরুত্ব পেয়ে থাকে। এদের বিবেচনাশক্তি থাকলে বিএনপি’র ঢাকার গণসমাবেশ নিয়ে বাড়াবাড়ি করতেন না। আজকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ চলছে বলেই রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে দলীয় চেতনায় সংগঠিত করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে না। দলীয়করণের রাজনীতি গণতান্ত্রিক রাজনীতি নয়। বিরোধী দল শত্রæদল নয়। বিএনপি’র রাজনীতি জনস্বার্থকেন্দ্রীক। জনসমাবেশে জনগণের পক্ষেই কথা বলা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ নিয়ে পুলিশের টানা হেঁচড়ায় দেশবাসী ক্ষুব্ধ। বিএনপি’র মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশের কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য এক পরিকল্পিত নীলনকশায় মেতেছে আওয়ামী সরকার। সমাবেশের ভেন্যু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতার দোলাচল তৈরীর পরিস্থিতি সরকারের অসৎ অনাচারের বহিঃপ্রকাশ।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার এতটাই গণবিচ্ছিন্ন যে, অসংখ্য মানুষের শব্দে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। তিনি একদলীয় একমাত্রিক কর্তৃত্ববাদী নিষ্ঠুর শাসনকে রাজনৈতিক দর্শন হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ঢাকার গণসমাবেশকে নিয়ে টালবাহানায় আবারও প্রমাণিত হলো-অগণতান্ত্রিক শক্তির দোসর’রা কখনোই গণতান্ত্রিক শক্তির মিত্র হতে পারে না।
এসময় তিনি জানান, গত ৬ দিনে বিএনপির ১৪শ’ নেতাকর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ নভেম্বর রাত থেকে ৫ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত ১ হাজার ৩১৫ জন। আর ৫ ডিসেম্বর দুপুর হতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অবিলম্বে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।