পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রফতানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে দেশটিতে রেকর্ড সাড়ে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি পোশাক রফতানি হয়েছে।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের অন্যতম বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ক্রেতার আস্থা অর্জন করে করোনাকালীন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা সচল রেখে পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। উন্নত করা হয় কারখানার কাজের পরিবেশ। তাতেই মেলে সুফল। গত বছরের মে মাস থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ পোশাক আমদানির এক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল- অটেক্সা।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি করেছে বাংলাদেশ। গত বছরের এই সময়ে যা ছিল ৫০০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে রফতানি বেড়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ।
অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ থেকে গত জুলাইয়ে তৈরি পোশাক রফতানি কিছুটা কমে ৬৯ কোটি ডলারে নামলেও পরের দুই মাসেই তা আবারও বেড়ে ৯০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়।
এর আগে গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭১৫ কোটি ডলার তৈরি পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। ২০২০ সালের তুলনায় যা ছিল প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি।
এদিকে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বৈরী সম্পর্কের সুযোগে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের রফতানি আয় আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।