Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খোলাবাজারে ডলার ১১১, ব্যাংকে ১০৫ টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দিলেও বাজারে ডলারের তেজ কমেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করে প্রতি ডলারের দাম নিয়েছে ১০৫ টাকা ৪০ পয়সা।

আর গতকাল রোববার খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ১১১ টাকা ২০ পয়সায়। সরেজমিনে রাজধানীর একাধিক মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে ব্যাংকগুলো গতকাল রাষ্ট্রায়াত্ত্ব অগ্রনী ব্যাংক সর্বোচ্চ ১০৬ টাকা ৩ পয়সা দামে ডলার সংগ্রহ করে। প্রবাসী আয় ও রফতানির অর্থ নগদায়নের ক্ষেত্রে ডলারের এই দাম দেওয়া হয়। তবে একই দিন অগ্রণী ব্যাংক নগদ ডলার বিক্রি করেছে ১০৮ টাকা। একইভাবে অন্য ব্যাংকগুলো কাছাকাছি দামে ডলার বিক্রি করেছে। ফলে খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যাংকের ডলারের দামে বড় পার্থক্য তৈরি হয়েছে।

এর আগে ডলার-সঙ্কট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) শীর্ষস্থানীয় নেতারা ১১ সেপ্টেম্বর এক সভায় ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেন। এতে রফতানি আয়ে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দাম ৯৯ টাকা, প্রবাসী আয়ে ১০৮ টাকা দাম বেঁধে দেওয়া হয়। আর ডলারের পাঁচ দিনের গড় খরচের চেয়ে এক টাকা বেশি দামে আমদানি দায় শোধ করতে বলা হয় ব্যাংকগুলোকে।

ব্যাংকিং লেনদেনের পাশাপাশি মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলোর ডলার কেনাবেচার দামও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর নগদ ডলার বিক্রির দরের চেয়ে সর্বোচ্চ দেড় টাকা মুনাফা করতে পারবে মানি চেঞ্জারগুলো।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানিসহ বিভিন্ন আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। সেই তুলনায় বাড়েনি রফতানি ও প্রবাসী আয়। ফলে দেশে ডলারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ জন্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ থেকে প্রতিদিন ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত ৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে অক্টোবরে এর পরিমাণ ছিল ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগের মাস সেপ্টেম্বরে রেমিট্যোন্স এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার।

এছাড়া রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর শেষে সামগ্রিকভাবে পণ্য রফতানিতে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। নভেম্বর শেষে সেটি বেড়ে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ হয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে ২ হাজার ১৯৫ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে রিজার্ভের পরিমান ৩৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ