পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হঠাৎ অবতরণে বাধ্য হওয়ার ঘটনায় ৩টি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিমানের বরখাস্তকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। এটিকে মনুষ্যসৃষ্ট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে তদন্তকারীরা। এ জন্য ফৌজদারী আইনে মামলা হবে। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী এ কথা জানিয়েছেন। গতকাল রবিবার বিকাল ৩টায় সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার নৈতিক দায় স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় কর্মকর্তাদের গাফিলতি ছিল। তবে নাশকতার উদ্দেশ্যে গাফিলতি ছিল কিনা তা তদন্তের জন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
মেনন বলেন, তিনটি কমিটি একই ধরনের প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, এ দুর্ঘটনা মনুষ্যসৃষ্ট ছিল।
তিনি জানান, মন্ত্রণালয় তাদের প্রতিবেদনে সাতটি, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে তিনটি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তদন্ত প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশ করেছে।
সব কমিটির সুপারিশে বিমানের সব কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ জরুরি, স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর (এসওপি) আরও যুগোপযোগী করা, ভিআইপি বিমানের নিরাপত্তা জোরদার করতে বলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন রাশেদ খান মেনন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ওই তিনটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে বিমানটির অয়েল প্রেশারে সমস্যা ছিল এবং এর নাট-বল্টু ঢিলে অবস্থায় ছিল। এ সমস্যাকে মনুষ্যসৃষ্ট উল্লেখ করে বিষয়টি নাশকতা ছিল কিনা তা তদন্তে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মামলা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে মামলা করা হবে। যেহেতু শেখ হাসিনা কেবলই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারেরও সদস্য। তাই বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মামলা কবে করা হবে তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এখানে অন্য কোনও ইস্যু কাজ করবে না।
তবে কার কার নামে মামলা করা হবে সে বিষয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য না করে বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করে করা হবে বলে জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় মন্ত্রী হিসেবে আপনার দায় আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার নৈতিক দায় আছে। তবে অন্য কোনও দায় আছে কিনা তা আপনারা বিবেচনা করবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিমানের পরিচালনা বোর্ড পরিবর্তনের এখতিয়ার বিমান মন্ত্রণালয়ের নেই।’ তিনটি তদন্তের ভিত্তিতে করা ২০০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি সময় সুযোগমতো প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।