প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : আমি দেশের বাইরে থাকি। আমাদের রুমের কয়েকজন্য ভিডিও চ্যাটিং, ইমু বা স্কাইপ দিয়ে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে কথা বলে ও তাদের সাথে ভার্চুয়াল সেক্স করে। প্রশ্ন হলো এসব কি জিনা হিসেবে ধরা হবে? এর গুনাহ কি জিনার সমান, কাছাকাছি না কম?
উত্তর : শুধু কল্পনা করে কোনো যৌন আচরণ করলেও গুনাহ হয়। বেগানা নারী ইচ্ছাকৃতভাবে দেখলে চোখের জিনা হয়। স্পর্শ করলে হাতের জিনা হয়। ভাবলে মনের জিনা হয়। সে দিকে অগ্রসর হলে পায়ের জিনা হয়। এসব কথা বললে বা শুনলে মুখ ও কানের জিনা হয়। জিনা মানে জিনার মত গুনাহ হয়। তাহলে আপনার প্রশ্নের জবাব এ নীতিমালা থেকেই নিয়ে নিন। ঠিক জিনার সমান শাস্তি না হলেও গুনাহ সমান হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘লা তাকরাবুজ জিনা, ইন্নাহু কানা ফাহিশাতাও ওয়া ছাআ ছাবিলা’। অর্থাৎ তোমরা জিনার ধারে কাছেও যেও না। নিঃসন্দেহে ইহা অশ্লিলতা ও খুবই মন্দ পথ। (আল কোরআন)। এখানে ধারে কাছেও যেও না থেকে কী বোঝা যায়? যেসব কাজ বা আচরণ জিনার কাছাকাছি, প্রেরণাদাতা বা পরিণামে জিনার দিকে নিয়ে যায়, সবই হারাম বা জিনার অনুসঙ্গ। অতএব, মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য যেমন মৃত্যুর কারণগুলো থেকে বাঁচতে হয়, তেমনই জিনা থেকে বাঁচতে হলে জিনার কারণ সমূহ থেকে বাঁচতে হবে। বাঁচতে হয়, তেমনই জিনা থেকে বাঁচতে হলে জিনার কারণসমূহ থেকে বাঁচতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।