পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সফরে আসছেন। জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশাল জনসভায় তিনি ভাষণ দেবেন। এই সফরকে ঘিরে কক্সবাজারে চলছে এখন সাজসাজ রব। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে শেখ কামাল স্টেডিয়ামসহ কক্সবাজার শহরের অলীগলি নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভাকে সফল ও স্বার্থক করতে কক্সবাজারের সকল উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক, কক্সবাজার পৌরসভার ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে এক মতবিনিময় সভা শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পূর্বে সারা বাংলাদেশ অন্ধকারে ছিল। সে সময় খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, নিজামী, মুজাহিদ জোট সরকার দেশকে জঙ্গিবাদের গহŸরে ডুবিয়ে দিয়েছিল। তখন সারা দেশ অরাজকতা, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয়করণ, সন্ত্রাসে পরিপূর্ণ ছিল। তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেশ পরিচালিত হতো না, দেশ পরিচালিত হতো হাওয়া ভবন থেকে তারেক জিয়ার ইচ্ছায়। তৎকালীন সরকারের আমলে দেশ দুর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল। তারেক রহমান মুছলেখা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল এখনও সাজাপ্রাপ্ত আসা হিসেবে বিদেশে পালিয়ে রয়েছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে আবু সাইদ আল মাহামুদ স্বপন এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের পাশাপাশি কক্সবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তিনি দেশের অন্য এলাকার চাইতে কক্সবাজারে বেশি মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্প, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, মেরিন ড্রাইভ, গভীর সমুদ্র বন্দর, সাব মেরিনের মাধ্যমে কুতুরদিয়ায় বিদ্যুৎ প্রকল্প, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, সাবরাং এক্সক্লোসিভ ট্যুরিজম জোন, মহেশখালী এল.এম.জি টার্মিনালসহ অসংখ্য মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিশেষ মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন-৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারবাসী তার প্রতিফলন হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর জন্য জনসভাস্থলে উপস্থিত হবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র উন্নয়ন নয় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করে দেশ ও জাতির ভাগ্যে উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সকল ধর্মের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি কওমী মাদরাসার সনদকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। তিনি দেশের ইসলামের প্রসার ও ইসলামের গবেষণার জন্য একই ডিজাইনের ৫৯০টি মসজিদ নির্মাণ করে যাচ্ছেন। সভায় বক্তব্য রাখেন-আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আলহাজশেক উল্লাহ এমপি, আলহাজ্ব জাফর আলম এমপি, শহর ও উপজেলা সভাপতিবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।