পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে পারস্পরিক সম্মান ও আস্থার ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। সেই সাথে নতুন মানসিকতা ও চিন্তা নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন তারা। অভিন্ন নদীর পানির সমস্যা সমাধান, ভিসা জটিলতা নিরসন, বাণিজ্য-ঘাটতি কমিয়ে আনা, ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেল দেখা না যাওয়াসহ নানা সমস্যার কথা উঠে আসে আলোচনায়। গতকাল রবিবার সকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাজধানীর বিলিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত ওই আলোচনার শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক : বন্ধুত্বের ৪৫ বছর উদ্যাপন’।
আলোচনায় তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মোহসীন, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো মোহাম্মদ ইউনুস। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গত ৪৫ বছরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে এটা অনেক ঘনিষ্ঠ। এ সম্পর্ককে টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি করতে গেলে দুই দেশের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়Ñ এমন কৌশলের মাধ্যমেই এগিয়ে যাওয়া উচিত।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর তাঁর উপস্থাপনায় বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে আবেগ, বাস্তবতা দুটোই আছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা কোনোভাবেই ভোলার নয়। এতে ভারতীয়রাও রক্ত দিয়েছেন। এটাই আমাদের সম্পর্কের আবেগগত ভিত্তি। অন্যদিকে বাস্তবতা হলো, ৪৫ বছরে সম্পর্ক ওঠানামা করেছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যও আছে। স্থলসীমান্ত চুক্তি ও সমুদ্রসীমা চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘদিনের আটকে থাকা সমস্যা সমাধান হয়েছে।
সাবেক এ কূটনীতিক আরও বলেন, সীমান্ত সমস্যা সমাধানে দুই দেশকে আরও কৌশলী হতে হবে। দুই দেশের বাণিজ্য-ঘাটতি কমানো, ভিসা সমস্যা সহজীকরণসহ নানা সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন শুধু নিরাপত্তাগ্রহীতা নয়, নিরাপত্তাদাতাও। আমরা উত্তর-পূর্ব ভারতে নিরাপত্তা দিচ্ছি, ভারত মহাসাগরেও দিচ্ছি।
অধ্যাপক আমেনা মোহসীন বলেন, সম্পর্কের ক্ষেত্রে আস্থা ও বিশ্বাস বড় একটি বিষয়। ভারত-চীন, ভারত-পাকিস্তান, পাকিস্তান-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক এ অঞ্চলের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপাদান। আন্তর্জাতিক রাজনীতির কথা মাথায় রেখে কীভাবে এসবের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আকমল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক পরিচালিত হয় দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে ওপর। এ ক্ষেত্রে দুই দেশই অন্যের বিষয়টিকে বিবেচনায় নিলে সম্পর্ক উন্নয়ন সহজ হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এহসানুল হক, একই বিভাগের অধ্যাপক লাইলুফার ইয়াসমীন, সাবেক রাষ্ট্রদূত আশফাকুর রহমান, হুমায়ুন এ কামাল, মুহসীন আলী খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।