প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : আমার বয়ফ্রেন্ড আমাকে বিয়ে করতে তালবাহানা করায়, আমি প্রেগনেন্ট হয়ে গেছি বলে আমার বয়ফ্রেন্ডকে জানাই এবং বিয়ের জন্য রাজি করাই। পরে অবশ্য মিসক্যারেজ হয়ে গেছে বলে পার পাই। আমাদের বিয়ে কি বৈধ হবে? যদি গোনাহ্ হয়ে থাকে তাহলে এখন কি করব? বর্তমানে আমাদের বিবাহ জীবন ভালো যাচ্ছে তবে আমি মনে মনে অত্যন্ত লজ্জিত। কি করতে পারি?
উত্তর : মুসলমান হিসাবে প্রকৃত বিশ্বাস শিক্ষা ও সংস্কৃতি আয়ত্ব করতে না পারায় আপনি আপনার জীবনকে অনেক এলোমেলো করে ফেলেছেন। ধর্মহীন সমাজে এসব চলে। কিন্তু ইসলামী সমাজে এসবই অন্যায়। প্রথমে আপনি অবৈধ মেলামেশায় গিয়েছেন, প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা তৈরি করেছেন। এরপর নিঃসন্দেহে প্রেম নামক একটি কামনা বাসনামূলক অবৈধ সম্পর্ককে বৈধ রূপ দেওয়ার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। বলতে গেলে আপনার সঙ্গীকে ব্ল্যাকমেইল করেছেন। এখানে আপনি ও আপনার পুরুষ সঙ্গী একই অপরাধে অপরাধী। গোনাহর কোনো সীমা নেই। তবে এমন গোনাহ বা এরচেয়ে হাজারগুণ বেশি গোনাহও আল্লাহ মাফ করতে পারেন। আপনারা তওবা, ক্ষমা প্রার্থনা ও নেক আমল করতে থাকুন। তবে শরীয়তের সকল শর্ত পূরণ করে বিয়ে করে থাকলে, আপনার বিবাহ সম্পূর্ণ সঠিক হয়েছে। বৈধ হয়েছে। এ বিষয়ে মনে কোনো সংশয় রাখবেন না। মনে মনে অপরাধবোধ ও লজ্জা হওয়াই স্বাভাবিক, এ বিষয়টি লালন করে নিজেদের জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলবেন না। স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন। তবে আল্লাহর সামনে অপরাধবোধ, লজ্জা, অনুতাপ, অনুশোচনা আমৃত্যু লালন করে যাবেন। এতে আপনার ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক উপকার হবে। পরকালেও নাজাতের ব্যবস্থা হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।