পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোলা ও ঝালকাঠীতে ভোট গ্রহণ হচ্ছে না
নাছিম উল আলম : আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরাই দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্বকে জিইয়ে রেখেছে। তবে এসব বিদ্রোহীপ্রার্থী না থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের কোন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হতো না। কোন কোন মহলের মতে, এ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতেই শাসক দল থেকে একাধিক প্রার্থীকে ভোটের লড়াইয়ে রেখেছে কৌশলগত কারণে।
বিভাগীয় সদর বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেব প্রথমে দলের দীর্ঘদিনের আন্দোলন সংগ্রামের সহযাত্রী ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খান আলতাফ হোসেন ভুলুকে মনোনয়ন দেয়া হলেও পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা মাঈদুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হয়। দলের আরো দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও পরে তারা তা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে এখন বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন। এছাড়াও পটুয়াখালীতে ৩জন, বরগুনাতে দ্জুন এবং পিরোজপুরেও ৩ প্রার্থী স্ব-স্ব জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। যাদের প্রায় সকলেই একই দলের সমর্থক ও সক্রিয় নেতা-কর্মী। ফলে এনির্বাচন অনেকটাই আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার পরোক্ষ গ্রহণযোগ্যতার মাপকাঠিতে পরিণত হয়েছে। অপরদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ভোলা ও ঝালকাঠী জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় কোন ভোটই হচ্ছে না।
তবে বিরোধী দলের অংশ গ্রহণহীন এ নির্বাচনের আবহাওয়াও অনেকটাই ২০১৪-এর সাধারণ নির্বাচনের রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে। বিশেষ করে ভোলা ও ঝালকাঠী জেলা পরিষদে চেয়ারম্যানসহ প্রায় সবগুলো সদস্য পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোটের কোন আমেজ নেই। সাধারণ মানুষ ভোটার না হওয়ায় জেলা পরিষদের এনির্বাচন আমজনতার মধ্যে কোন ধরনের প্রভাব ফেলেনি। পাশাপাশি উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের চেয়ারম্যান, মেয়র ও সদসগণ ভোটার হওয়ায় ভোট বেচাকেনার সুযোগ থাকায় জনগণের মনোভাবের কোন প্রতিফলন এ নির্বাচনে পড়বেনা বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকগণ। বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ৩৯ জন। স্বল্প সংখ্যক ভোটার তার নিজ এলাকার যে প্রতিনিধিত্ব করছেন তারা আমজনতার মতামতকে মূল্যায়ন করবেন এমন কোন নিশ্চয়তাও নেই বলে মনে করছেন মহলটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।