Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সুরমার বুক কেটে মাটি বিক্রি : ট্রলার আটক

হুমকির মুখে এমএ খান সেতু

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের সুরমা নদীর বুক কেটে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মাটি বিক্রির সময় একটি ট্রলার আটক করেছেন স্থানীয় জেলেরা। আটকের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আফজল হোসেন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করেন।

জানা যায়, সদর উপজেলার জালালাবাদ থানার ধনপুর এলাকায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৩য় পর্যায়ের (দ্বিতীয়) ধাপে গৃহহীনদের জন্য ১৪১টি ঘর নির্মাণ করা হবে। প্রয়োজন মাটি ভরাটের। সিলেট জেলা প্রসাশক কার্যালয়ের রাজস্ব বিভাগ থেকে স্মারকমূলে বিশ^নাথের লামাকাজি ইউনিয়নের গৌরিসংকর মৌজার সুরমা নদীর তীর থেকে প্রায় ১৫ দিন ধরে মাটি উত্তোলন কাজ চলছে। সরকারি হিসেবে মতে তাদের মাত্র ৪টি নৌকা (ট্রলার) দিয়ে মাটি উত্তোলন কাজ চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ দিনে রাতে প্রতিনিয়ত অন্তত ১০ থেকে ১২টি ট্রলার দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে নদীর উপর র্নিমিত এমএ খান সেতু, পাশেই ২৪টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও বেড়ি বাধ।

সাবেক মেম্বার আবুল কালাম জানান, প্রশাসনের আশ^াসে গত শুক্রবার সন্ধায় অবৈধভাবে মাটি বিক্রির সময় এলাকাবাসি মাটি ভর্তি একটি ট্রলার আটকও করেছেন। বর্তমানে ট্রলারটি ইউপি সদস্য আফজল হোসেনের হেফাজতে। ট্রলারটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউপি সদস্য আফজল হোসেন গত সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন। তাদের অভিযোগ মাটি বিক্রির সাথে জড়িত লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া ও প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হক এনাম।
লামাকাজি উইনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, তার উপর আনিত অভিযোগ সত্য নয়। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিকভাবে অনুমতি নিয়ে পরিষদের রাস্তায় মাটি বরাট করছেন।

সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত আজমেরী হক ইনকিলাবকে জানায়, জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে মাটি নেয়া হচ্ছে। মাটি বিক্রির বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। বিশ^নাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত হাজান বলেন, সরকারি কাজে যারা বাধা প্রদান করছে তাদের তলব করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ