পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কামরাঙ্গিরচরস্থ জামিয়া নূরিয়া ইসলামিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমতের শপথ নিয়ে কলিমা পতাকা উত্তোলন করেন আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন। দলের প্রধান আমীরে শরীয়ত মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জীর সভাপতির স্বাগত বক্তব্যের পর অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে খেলাফত আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রতিনিধিগন বক্তব্য রাখেন। কাউন্সিলদের মতামতের ভিত্তিতে আগামী দুই বছরের জন্য মাওলানা আতাউল্লাহ আমীর এবং মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি মহাসচিব পুননির্বাচিত হন। নির্বাচিত আমীর ও মহাসচিব শিগগিরই পূর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করবেন।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা'আলা বিশ্ববাসীর শান্তির জন্য খেলাফত শাসন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করেছেন। একমাত্র খেলাফত পদ্ধতির সরকার তথা কোরআন সুন্নাহর শাসনেই ইনসাফ, ন্যায়বিচার ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। খেলাফত শাসন ব্যবস্থাই একমাত্র বিশ্ব শান্তির মডেল। ইসলাম ছাড়া অন্য কোন মতবাদে অপরাধ নির্মুল করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা, খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা যুগ শ্রেষ্ঠ বুযুর্গ মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) আল্লাহর মহান দায়িত্ব পালনার্থে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নামে একটি ব্যাতিক্রমধর্মী রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) ১৯৮১ সালে জেহাদের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরকারি ভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। খেলাফত আন্দোলন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবদি কোন হরতাল,জ্বালাও পোড়াও, ভাঙচুরের মতো ধংসাত্মক কর্ম কান্ডে বিশ্বাস করেনা। রাজনৈতিক সহিংসতার নামে মানুষের জান- মালের ক্ষতি করাকে হারাম মনে করে। ইনশাআল্লাহ আগামী জাতীয় নির্বচনেও খেলাফত আন্দোলন এককভাবেই অংশ নিবে।
হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহ.) বলতেন আমি আল্লাহ তায়ালার নির্দেশেই ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছি। খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা একদিন ইমাম মাহদী (আঃ) এর সৈনিকদের অতর্ভুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ। তাই এক ও নেক হয়ে আল্লাহর যমিনে আল্লাহর শাসন কায়েমের জন্য শপথ নিয়ে কাজ করে যাওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
কাউন্সিলে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, মাওলানা শেখ আজিমউদ্দিন, আলহাজ আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, এডভোকেট মোঃ লিটন চৌধুরী, মুফতি আব্দুল আজিজ চট্টগ্রাম, মাওলানা মুশতাক আহমদ শরীয়তপুরী, মাওলানা শেখ সাদী নারায়নগঞ্জ, মাওলানা আ ফ ম আকরাম হোসাইন, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ হবিগঞ্জ, মাওলানা জুনায়েদ,মুফতী শিহাবুদ্দিন, হাফেজ মাওলানা মীযানুর রহমান , মাওলানা শেখ নাসিরুদ্দীন, মাওলানা হাফিজুর রহমান সরদার, মাওলানা আব্দুল আজিজ খোমেনী কুমিল্লা, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন ফরিদপুর, মাওলানা রশিদুল হক বিএসসি চট্টগ্রাম, মাওলানা আহমদ আলী ময়মনসিংহ, মুফতী মুশাররফ হোসেন নরসিংদী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শরীয়তপুর, মুক্তিযুদ্ধা ক্বারী মাসউদুল হক কিশোরগঞ্জ, হাজী জালালুদ্দিন বকুল, মাওলানা ফিরোজ মোল্লা আশরাফী,মাওলানা আনোয়ারউল্লাহ ভুইয়া ফেনী, ডা, নিয়ামত আলী ফকির, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আবদুর রহিম, মাওলানা মামুনুর রশীদ, মাওলানা আবুল হাসান কাসেমীসহ জেলা নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।