পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত আইজাজ আহমদ চৌধুরী বলেছেন, এই অঞ্চলের সব দেশই বৈশ্বিক উষ্ণতার শিকার। এ কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জলবায়ু ইস্যুতে ঐকমত্য হতে পারে। বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাউসে বর্তমান বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে এক মিডিয়া মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
এসময় ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত আসিফ দুররানি এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। গত ২১-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২২-এ অংশ নিতে আইজাজ আহমদ চৌধুরী ও রাষ্ট্রদূত আসিফ দুররানি ঢাকায় এসেছিলেন। অনুষ্ঠানে সফরকারী প্রতিনিধিরা বৈশ্বিক চলমান ঘটনা প্রবাহ এবং গতিবিধির পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের রূপরেখা তুলে ধরেন।
আইজাজ আহমদ চৌধুরী বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অগ্রাধিকার নিয়ে মতানৈক্য আছে। তবে পাকিস্তানের প্রতিটি সরকারই চেয়েছে ভারতের সাথে সম্পর্ক ভালো করতে। তিনি বলেন, চীনের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক প্রশ্নাতীত। তবে চীনের সাথে সম্পর্ক অটুট রেখেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বহাল রাখা সম্ভব। আর পাকিস্তান তাই করছে। এক দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করা মানে অপর দেশের সাথে সম্পর্ক খারাপ করা নয়। বরং নিজেদের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি বলেন, নিজের দেশের উন্নতির কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখানে অন্য দেশের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ঠিক নয়। তিনি জানান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের উচিত হবে তাদের সম্পর্কের মধ্যে অন্য দেশকে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ না দেয়া। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে কোনো দেশের উচিত হবে না নিজেকে অসহায় মনে করা। বিশ্ব এখন একমেরুতে নেই, এখানে বহুমেরুর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। কাজেই ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি বিষয়। তিনি আরো বলেন, সার্ক তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারছে না । বর্তমান প্রেক্ষাপটে সার্কের অ্যাজেন্ডা নতুন করে মূল্যায়ন করা উচিত।
তিনি মনে করেন, জলবায়ু ইস্যুতে আঞ্চলিক ঐকমত্য হতে পারে। এখানকার সব দেশই উষ্ণতার পরিবর্তনের শিকার। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এসময় কূটনীতিকরা সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। দূতাবাস কর্মকর্তারা ও ঢাকায় কর্মরত বেশকিছু গণমাধ্যমকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।