Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে আইসিবি

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দেশের পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। এরই সুবাধে বিনিয়োগের পালে লেগেছে হাওয়া। কেননা মাঝে মধ্যে দু’একদিন সংশোধন হলেও পরের দিন ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। লক্ষ্য যেন স্থিতিশীলতার সঠিক পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়া। এরই জের ধরে মূল্য সূচকের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে বাজার মূলধন। আসছে বিদেশি বিনিয়োগ। দেশি বড় বিনিয়োগকারীরাও আস্থাশীল হয়েছেন বাজারের প্রতি। আর সরকারের নিজস্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি দিনের পর দিন বাড়িয়ে যাচ্ছে তাদের বিনিয়োগ। এরই ধারাবাহিকতায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ছাড়িয়েছে ৯১৩ কোটি টাকা। যা এর আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেশি।
স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি ও ব্যাংক ঋণের সুদহার কমে আসায় ছোট বড় সব শ্রেণীর উদোক্তারাই এখন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন। যা বেসরকারি খাতে সার্বিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। এছাড়াও সরকারি বিনিয়োগ (পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রভৃতি) বৃদ্ধি পাওয়ায় তা বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করছে। ফলশ্রুতিতে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ব্যবসাও সম্প্রসারণ হচ্ছে। এই ইন্ডিকেটরগুলো মাথায় রেখেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ক্রয় করছেন। যা শেয়ারহোল্ডারদের ভালো মুনাফা দেয়ার পাশাপাশি বাজারকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, নীতিনির্ধারণী মহলের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে বাজার ভালো অবস্থায় রয়েছে। এর ফলে সকল প্রকার বিনিয়োগকারী বাজারমুখী হয়েছেন। তাছাড়া এই মুহূর্তে গোটা রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকায় এবং অর্থনীতির সব সূচক ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় তার সাথে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। যার ধারাবাহিকতায় বর্তমানে মার্কেটে হাজার কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই। এভাবে চলতে থাকলে খুব শিগগিরই এই মার্কেটে ১৫‘শো কোটি টাকার লেনদেন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই খাতের বিশেষজ্ঞগণ। তারা আভাষ দিয়েছেন, লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি আসবে নতুন নতুন বিনিয়োগ। ফলে আরও গতিশীল হবে বাজার। তারা মনে করছেন, একটি শক্তিশালি পুঁজিবাজারই পারে অর্থনীতির অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে।
বিশেষণে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ধারা বিদ্যমান রয়েছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৪ কার্যদিবসের ৩ দিনই বেড়েছে সূচক। আর এ বৃদ্ধির হারও তুলনামূলকভাবে কিছুটা কিছুটা বেশী। এর ফলে সূচকের পাশাপাশি গড় লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। সপ্তাহিক ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩২.৯১ পয়েন্ট বা ০.৬৭ শতাংশ বেড়েছে। আর ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ১০.৮১ পয়েন্ট বা ০.৯৩ শতাংশ ও ডিএসই ৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫৮ শতাংশ বেড়েছে। আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৩১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৭টি, কমেছে ১৭২টি, অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি এবং লেনদেন হয়নি ২টি কোম্পানির।
আর সপ্তাহশেষে মোট ৩ হাজার ৬৫২ কোটি ৫৬ লাখ ১ হাজার ৮০৯ টাকা লেনদেন হয়েছে। দৈনিক গড় হিসাবে এ লেনদেন হয়েছে ৯১৩ কোটি ১৪ লাখ ৪ হাজার ৭০২ টাকা। যা আগের সপ্তাহে মোট ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ৬২ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬২ টাকা লেনদেন হয়েছিল। সে হিসেবে আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ কমেছে ১৬.০৫ শতাংশ।
এদিকে, দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসইএক্স বেড়েছে ১২.০৮ পয়েন্ট ০.১৩ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৯টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। আর সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ২৫৪ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার ৩৯৬ টাকার শেয়ার। এর আগের সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক বেড়েছিল ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। আর সিএসইতে টাকার অংকে মোট লেনদেন হয়েছিল ২৬১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। -ওয়েবসাইট



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ