পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্যবসা বাড়াতে বড় ধরনের বিনিয়োগে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এর জন্য কোম্পানিটি কারখানার পরিসর বাড়াতে ফ্যাক্টরি প্রাঙ্গনের আশপাশ থেকে আরও জমি কিনবে। পাশাপাশি বিদেশ থেকে সাত ক্যাটাগরির নতুন মেশিনও আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর জন্য কোম্পানির ব্যয় হবে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ কোটি টাকার সমান। গতকাল শনিবার ১৭ ডিসেম্বর বেলা ২টায় অনুষ্ঠিত কোম্পানির পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা যায়, কারখানার পরিধি বাড়াতে ফ্যাক্টরির আশপাশ থেকে জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। পাশাপাশি পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে বিদেশ থেকে আমদানি করছে বেশকিছু মেশিনারিজ। যার মধ্যে রয়েছে একটি ভিআইজেড, একটি টেপ লাইন, ২০টি লুম, একটি বেল প্রেস মেশিন, একটি অটো কাটিং সুইং মেশিন, একটি প্রিন্টিং মেশিন, আটটি সনিক সুইং মেশিন এবং অতিরিক্ত ওয়্যারহাউস। এতে কোম্পানির মাসিক উৎপাদন ১৫০ মেট্রিক টন বাড়বে। বর্তমানে কোম্পানির মাসিক পণ্য উৎপাদন হয় ৭০০ থেকে ৭৫০ মেট্রিক টন। কারখানা সম্প্রসারণে গেলে উৎপাদন আরও ১৫০ মেট্রিক টন বেড়ে হবে ৮৫০ থেকে ৯০০ মেট্রিক টন। এতে কোম্পানির মুনাফাও সমহারে বাড়বে। যার ফল ভোগ করবে এর শেয়ারহোল্ডারগণ। উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর আট মাসের আর্থিক প্রতিবেদন (১ নভেম্বর ২০১৫ থেকে ৩০ জুন ২০১৬) পর্যালোচনা করে কোনো প্রকার লভ্যাংশ না দেয়ায় মাত্র দুই মাসের একটি প্যাচে কোম্পানি জেড ক্যাটাগরিতে চলে যায়। ফলশ্রুতিতে পরের দিন শেয়ারের ব্যাপক দরপতন ঘটে। অর্থাৎ ৩১ টাকা থেকে মাত্র দু’দিনে ২১ টাকা ৩০ পয়সার নেমে আসে। কিন্তু পরবর্তীতে ডিভিডেন্ডের টাকা দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য আরও সুফল হবে বলে মনে করেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কেননা ব্যবসা সম্প্রসারণের ফলে কোম্পানির আয় বাড়ার পাশাপাশি পরবর্তীতে পূর্বের আট মাসের সাথে ২০১৭ সালে সমাপ্ত অর্থবছর শেষে বড় লভ্যাংশ ঘোষণা করা হতে পারে। আর এমন কৌতূহল থেকেই ওইদিনের (১ নভেম্বর) পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে থকে এ কোম্পানির শেয়ার দর। ফলে সর্বশেষ গত ১৪ ডিসেম্বর এটির দর ৩০.৮০ টাকায় উন্নীত হয়। সমাপ্ত সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৭১ টাকা, শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) হয়েছে ২৪.৬৪ টাকা এবং শেয়ার প্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহের পরিমাণ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১.৪৩ টাকা। ঘোষিত নো ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ১৯ জানুযারি বেলা সাড়ে ১১টায় রেজিস্টার্ড অফিস, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৪ নভেম্বর। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।