Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাসের ই-টিকিটে ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংযোজনের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০২২, ১২:৫৭ এএম

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, টিকিট মানে সেবা মূল্যের রশিদ। আন্তর্জাতিক ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী প্রতিটি পণ্য বা সেবামূল্যের রশিদ প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই বাসের ই-টিকিটে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংযোজন করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘ঢাকা সিটিবাস সার্ভিসে ই-টিকিটিং যাত্রীদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তিনি।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন পর নগরীর সিটি সার্ভিসের বাসে ই-টিকেটিং সেবা চালু হয়েছে। ফলে প্রতিটি টিকিটে টিকিট প্রদানকারী বাসের নাম, বাসের নিবন্ধন নম্বর, যাত্রা ও গন্তব্যের নাম, দূরত্ব, ভাড়ার অঙ্ক, ভ্রমণ তারিখ ও অভিযোগ কেন্দ্রের নম্বর থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রদত্ত ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় এসব পূর্ণাঙ্গ তথ্য নেই। কোনো কোনো টিকিটে শুধুমাত্র ভাড়ার অঙ্ক লেখা রয়েছে। ফলে এসব টিকিট দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হলে যাত্রীদের প্রতিকার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, ভাড়া নির্ধারণের শর্ত অনুযায়ী চালক-সহকারীর নিয়োগপত্র, বেতন ও ওভারটাইম নিশ্চিত করা জরুরি।। লক্কড়-ঝক্কড় বাস উচ্ছেদ ও বাসের সার্বিক পরিবেশ উন্নতসহ আধুনিক বিশ্বের আদলে গড়ে তুলতে হবে সিটি সার্ভিস। সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করে বাসের জন্য আলাদা ডেডিকেটেড লেইনের ব্যবস্থাসহ নানামুখী সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হলে মানুষ ধীরে ধীরে বাসমুখী হবে। মোটরসাইকেলের পাশাপাশি ছোট ছোট পরিবহনের ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা কমে যাবে, ফলে যানজট ও যাতায়াতের ব্যয় কমে আসবে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বলেন, ই-টিকেটিং উন্নত বিশ্বে অনেক আগে চালু হলেও ৪ বছর আগে বাংলাদেশে চালু হয়েছে। রাজধানীর বাসে ভাড়া নৈরাজ্য দূরীকরণে ই-টিকেটিং চালু করা হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের পাশাপাশি বাসে বাসে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ হবে। রাজধানীতে ৩০ নভেম্বরের পর থেকে এসকল বাস বন্ধ হয়ে যাবে। দৃষ্টিনন্দন করা হবে সব ধরনের বাস সার্ভিস।
বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগের (ইঞ্জিনিয়ারিং) উপ-পরিচালক স্বদেশ কুমার দাশ বলেন, বিআরটিএ রাজধানীর বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করার লক্ষ্যে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আসছে। আগামীতে এই কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।
আলোনায় আরও বক্তব্য রাখেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহিদুল হক লিটন, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ