পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একই সম্পত্তির একাধিক দলিল সৃষ্টি করে ঋণের নামে অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবেদনের পর ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন এবং বিশেষ সংবাদদাতা সাঈদ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ‘নোমান গ্রæপ’। গত বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। দন্ডবিধির ৫০০ ধারায় দায়েরকৃত মামলায় ২ হাজার কোটি টাকার মানহানি হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ইনকিলাব সম্পাদক ও প্রতিবেদককে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
নোমান গ্রæপের পক্ষে আইনজীবী এনায়েত বাতেন রাসেল সংবাদ সংস্থাকে জানান, ‘ঋণের নামে হাতিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামে সংবাদের কারণে কোম্পানির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের কারণে দেশে-বিদেশে নোমান গ্রæপের মানহানি হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার আসছে না।
প্রসঙ্গত : গত ৩১ অক্টোবর ‘ঋণের নামে হাতিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা! আরেক হলমার্ক নোমান গ্রæপ, একই সম্পত্তির একাধিক দলিল, হাইকোর্টে যাচ্ছে দুদকের নথি’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে দৈনিক ইনকিলাব। প্রামাণ্য এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যাংক সেক্টরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিএফআইইউসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে নামে। প্রতিবেদনের সূত্র ধরে প্রতিবেদকের কাছে নোমান গ্রæপভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শত শত কোটি টাকার কর ফাঁকি, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার, বন্ডের মালামাল খোলাবাজারে বিক্রি, অস্ত্রের লাইসেন্স জালিয়াতিসহ বহুমাত্রিক আর্থিক কেলেঙ্কারি ও জাল-জালিয়াতির প্রমাণ আসতে থাকে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের লক্ষ্যে অনুসন্ধান চলছে। এ প্রেক্ষাপটে ইনকিলাবের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে দায়ের করা হয় এ মামলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।