পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গেল এক বছরে উচ্চশিক্ষার সুযোগে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন সিলেটের ১০ হাজার শিক্ষার্থী। আগামী জানুয়ারি ও মে সেশনে ভর্তির জন্য বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করেছেন আরো কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। কিন্তু ব্যাংকে ডলার সঙ্কটের কারণে টিউশন ফি পরিশোধ করতে গিয়ে মারাত্মক বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে ৬ মাসের টিউশন ফি দিয়ে বিদেশ চলে গেছেন তারাও পারছেন না নতুন সেশনের ফি দিতে। আর নতুন আবেদনকারীদের অফার লেটার আসলেও টিউশন ফি পরিশোধ করতে না পারায় কনফারমেশন অব এক্সেপটেন্স ফর স্টাডি লেটার (কাস লেটার) আসছে না তাদের। এতে সেমিস্টার ড্রপের আংশকা দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। ব্যাংকের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থী ছুটছেন বিকল্প অবৈধ পথ হুন্ডিতে। কারন ইউনিভার্সিটির টিউশন ফি জমা দিতে হবে তাদের। এমন তথ্য পাওয়া গেছে সিলেটের কয়েকটি ব্যাংক, স্টুডেন্ট ভিসা কনসালটেন্সি ফার্ম ও বিদেশ গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপে।
বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, ব্যাংকে ডলার সঙ্কটের কারণে সুযোগ নিচ্ছেন হুন্ডি ব্যবসায়ীরাও। টিউশন ফি পরিশোধের জন্য ডলারের মূল্য বাজার দরের চেয়ে অনেক বেশি রাখছেন হুন্ডি। হুন্ডি ব্যবসায়ীরা সিলেটে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি’র সমপরিমাণ টাকা হাতে নিয়ে বার্তা পাঠান যুক্তরাজ্যস্থ এজেন্টদের কাছে। পরে সেই এজেন্টের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী। অনেক সময় হুন্ডি ব্যবসায়ীর এজেন্ট নিজে ইউনিভার্সিটির ফি পরিশোধ করে দেন। ব্যাংক সূত্র মতে, কেন্দ্রীয় নির্দেশনার আলোকে স্টুডেন্ট ফাইল খোলা বন্ধ রেখেছেন তারা। ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ডলার সঙ্কটের কথা বলে ফাইল খুলতে করা হয়েছে মানা।
পূবালী ব্যাংকের সিলেট মহানগরীর কদমতলী শাখার ব্যবস্থাপক জয়নাল আহমদ, একসময় তারা প্রচুর সংখ্যক শিক্ষার্থীর টিউশন ফি পাঠিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে ডলার সঙ্কটের কারণে টিউশন ফি পাঠানো বন্ধ রয়েছে। তবে স্টুডেন্ট ফাইল তারা এখনও খোলা অব্যাহত রেখেছেন তারা।
কমার্সিয়াল ব্যাংক অব সিলন সিলেট শাখার কর্মকার্তা নূর মোহাম্মদ বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দু’তিন ধরে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি পাঠানো বন্ধ রেখেছেন তারা। নতুন করে কোন ফাইল খোলা হচ্ছে না। তবে যারা ব্যাংকের ওই শাখার মাধ্যমে আগে টিউশন ফি পরিশোধ করেছিলেন, তাদের পরবর্তী টিউশন ফি পাঠানোর কাজ করছেন তারা।
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ ‘অ্যাংকরস বিডি’ নামের কনসালটেন্সি ফার্মের পরিচালক মিজান মুন্না জানান, আগামী জানুয়ারি সেশনে ভর্তির জন্য অনেক শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করেছিলেন। ইতোমধ্যে তাদের অফার লেটারও এসে গেছে। কিন্তু ডলার সঙ্কটের কারণে ব্যাংক ফাইল ওপেন না করায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছেন না। যে কারণে তাদের ‘কাস লেটার’ আসছে না। সময়মতো টিউশন ফি জমা দিতে না পারলে জানুয়ারি সেশনে ভর্তি হওয়া তাদের জন্য অনিশ্চিত হয়ে যাবে। এতে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা ছড়িয়ে পড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।