Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৌখিক অনুমতির পরও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের গণসমাবেশে পুলিশের বাধা

মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমার জান্তা ও সন্ত্রাসী বৌদ্ধদের বর্বরতা এবং অমানবিক হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে আজ মোহাম্মদপুর টাউন হল শহীদ পার্ক মাঠে গণসমাবেশের মৌখিক অনুমতি দেয়ার পরেও তাদের গণসমাবেশ করতে দেয়নি। পুুর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী সমাবেশ শুরুর প্রাক্কালে পুলিশ সমাবেশে বাধা দেয় এবং সমাবেশ করলে তার দায়-দায়িত্ব সমাবেশকারীদের  উপর বর্তাবে বলে হুমকি দেয়। এ পরিস্থিতিতে নেতৃবৃন্দ মোনাজাত অনুষ্ঠানের মাধমে সমাবেশ স্থগিত করেন।
ইতোমধ্যে গণজমায়েতে হাজার হাজার তৌহিদী জনতার উপস্থিতিতে দলের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, আজকের সমাবেশ কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিলনা। আমরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে ডিএমপি কমিশনার বরাবর অনুমতির জন্য দরখাস্ত দিয়ে। মৌখিকভাবে ডিসি ও ওসির সাথে অনুমতির জন্য একাধিকবার আলাপ আলোচনা করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে পুলিশ সমাবেশ করতে কেন বাধা দিলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, মিয়ানমারে মজলুম জনতার জন্য সারা দুনিয়ার মানুষ প্রতিবাদ মুখর অন্যান্য সংগঠন রাজধানীতে সমাবেশ মিছিল করেছে। কিন্তু সরকারের পুলিশবাহিনী কেন প্রতিবাদী মানুষের এই গণসমাবেশ বাধা দিল এর জবাব সরকারকেই দিতে হবে।
এরপর তিনি সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করে মোনাজাতে বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা মুসলমান হওয়ায় তাদের ওপর চলছে ইতিহাসের নির্মম ও জঘণ্যতম বর্বরতা। মুসলমানদেরকে ঘর-বাড়ি ধ্বংস ও তাদেরকে হত্যা এবং নারীদের ধর্ষণ করার অপরাধে সূচির নোবেল কেড়ে নিতে হবে। অবিলম্বে আর্ন্তজাতিকভাবে সূচি সরকারের ওপর বর্বরতা বন্ধে চাপ প্রয়োগ করতে হবে, প্রয়োজনে মিয়ানমারের সঙ্গে সকল ধরণেরর সম্পর্ক ছিন্ন করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করতে হবে। বর্বরতা বন্ধ না করলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা অথবা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
মোনাজাতের সময়ে মঞ্চে উপস্থিত হয়ে ছিলেন, মাওলানা আব্দুল হামীদ, দলের নায়েবে আমির মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরী, জামিয়া রাহমানিয়ার প্রধান মুফতি হিফজুর রহমান, বায়তুল ফালাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ তালহা, জামিয়া ওয়াহিদীয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ যুবায়ের, আদাবর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মাহমুদুর রহমান, আশরাফুল মাদারিসের মুহতামিম মুফতি মুহাম্মদ ইসমাঈল, দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মাওলানা কোরবান আলী, বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, অফিস ও প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসাসহ মাওলনা রুহুল আমীন ইউসূফ, মাওলানা আতিক উল্লাহ, ছাত্র মজলিস সভাপতি আব্দুর রহীম সাঈদ। তাৎক্ষণিকভাবে সমাবেশ স্থগিত ঘোষণার পর সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রধান মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা এ টি এম হেমায়েত উদ্দীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ