পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, এমন এক সময় সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে; যখন পদ্মা সেতুকে নিয়ে উচ্ছাস ও উন্মাদনা শেষ হয়নি। পদ্মা সেতুকে নিয়ে উচ্ছাস ও উন্মাদনা এত তাড়াতাড়ি শেষ হবার নয়। এরকম সময়ে বিলাসবহুল লঞ্চ নিয়ে আসা সাহসিকতর পরিচয়। পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নের সেতু। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ কখনো ভাবতে পারেনি পদ্মার ওপর সেতু হবে। অসম্ভব এ স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থান করেন। এরপর ১০ বছর চলে গেছে; কেউ পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা দেখলেন তখন শুরু হলো ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র শুধু পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে নয়; এ ষড়যন্ত্র সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে একটি দুর্নীতির আবরণ দিয়ে ঢেকে দেয়ার অপচেষ্টা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে এসব অপচেষ্টা ভেস্তে দিয়েছেন। আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে পথ চলি তাহলে কোন বাধা সামনে দাঁড়াতে পারবেনা। সব বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাব। রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশের বিরদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস করছে। কোন ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না।
'দেশের অর্থনীতি তলানীতে গেছে'-বিএনপি মহাসচিবের এরুপ বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি তলানিতে যায়নি, বিএনপির তলা ফেটে গেছে। কোন ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশের অগ্রগতি থামানো যাবেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব। প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা সদরঘাটস্থ নদী বন্দরে সুন্দরবন নেভিগেশন গ্রুপের নবনির্মিত, নিরাপদ ও সর্বাধুনিক যাত্রিবাহী লঞ্চ এম.ভি সুন্দরবন-১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
উল্লেখ্য, সুন্দরবন-১৬ লঞ্চটি ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচল করবে। এটির দৈর্ঘ্য ৩০০ ফুট এবং প্রস্থ ৫৪ ফুট। লঞ্চটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ১,৫০০ জন। এতে লিফট, ডুপ্লেক্স সুবিধা ছাড়াও দু’শতাধিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন এবং সোফার ব্যবস্থা রয়েছে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন যুক্ত করা হয়েছে। রাতে চলাচলের জন্য উন্নত প্রযুক্তির রাডার ও জিপিএস এবং নদীর ডুবোচর ও পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে বসানো হয়েছে ইকো সাউন্ডার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।