Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৭ দিন পর ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হলো সেই শিশুর লাশ

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম


অভিযুক্ত ডাক্তার-নার্সকে হাইকোর্টে তলব
মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : বগুড়ার শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার এবং নার্সদের অবহেলায় মারা যাওয়া সেই নবজাতকের লাশ ১৭দিন পর ময়না তদন্তের জন্য কবর খুঁড়ে তোলা হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ রায়ের স্বাক্ষরিত এক আদেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিকের উপস্থিতিতে গতকাল (শনিবার) বেলা পৌনে ১১টায় ওই নব জাতকের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।  শেরপুর উপজেলার ২ নং গাড়িদহ ইউনিয়ন ও পাড়ার খিলিয়ারা কবর স্থানে গত ৩০ নভেন্বর সকালে ওই নবজাতকের লাশ দাফন করা হয়। সে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার এবং নার্সদের অবহেলায় মারা গেছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১ ডিসেন্বর শেরপুর থানায় মামলা করেন নবজাতকের পিতা মো: ইলিয়াস হোসেন। গত ৪ নভেন্বর বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মৃত নবজাতকের লাশ ময়না তদন্তের জন্য আবেদন করা হলে আদালত ময়না তদন্তের প্রয়োজনে লাশ কবর থেকে তোলার নির্দেশ দেন। এর আগে চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনা নিয়ে ইনকিলাবসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী শামিম সরদার।
আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। গত ৮ ডিসেন্বর হাইকোর্ট বগুড়ার শেরপুরে সরকারি হাসপাতালে দায়িত্ব অবহেলায় খোলা আকাশের নিচে ডাব গাছের গোড়ায় মাটিতে সন্তান প্রসব বিষয়ে জানতে চান এবং ওইদিন শেরপুর হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার মোস্তফা আলম আল্লামা তালুকদার পিয়ালসহ নার্স সুপার ভাইজার সেলিনা জাহান এবং ইনডোর ওয়ার্ড ইনচার্জ পোর্শিয়াকে আবারও আগামী ৮ জানুয়ারি আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে নবজাতকের পিতা ইলিয়াস হোসেন জানায়, ঘটনার ১৭দিন পরে কবর থেকে ছোট্ট শিশুর লাশ উত্তোলন করে সঠিক ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে তার সন্দেহ রয়েছে। তা ছাড়াও একজন ডাক্তারের বিরুদ্ধে আমার মামলা আছে। সেখানে অপর একজন ডাক্তার এই গরিব মানুষের শিশুর জন্য সঠিক ময়না তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারবেন কি ?
এদিকে লাশ উত্তোলনের সময় শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম, এসআই আকিবুল ইসলাম এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামসুজ্জোহার কাছে স্থানীয় শত শত উৎসুক জনতা খিলিয়ারা কবরস্থানে হাজির হয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার এবং নার্সদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানান। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ