Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪, ১ শ্রাবন ১৪৩১, ০৯ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

গোদাগাড়ীতে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর আত্মহত্যা

| প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিকের হাতে ধর্ষণের শিকার গোদাগাড়ীর দিগরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী খালদো খাতুন (১৪) কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করছে। গত শুক্রবার দুপুরে কীটনাশক পান করলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর রাতে সে মারা যায়। গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হপিজুর আলম মুন্সি খবরের সত্যতা নিশ্চত করছেন। ওসি জানান, নিহত স্কুলছাত্রীর লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং নিহত খালদো খাতুনের বাড়ি উপজেলার জৈাটা বটতলা গ্রামে। তার বাবার নাম আলম হোসেন। দিগরাম স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। জানা গেছে, গত ৩ নভেম্বর রাতে খালেদা খাতুনে বাড়ীতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক শহদিুল ইসলাম (৩৮)। পরে স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
এরপর তাকে গণধোলাই দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত শহিদুলকে কারাগারে পাঠায়। শহিদুল উপজলোর জাহানাবাদ গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে। তিনি এখনও কারাবন্দী আছেন। মামলার তদন্ত  কর্মকর্তা গোদাগাড়ী থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) আবদুল লতিফ জানান, ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন সম্প্রতি পাওয়া গেছে তাতে বলা হয়েছে সে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে কিন্তু জোরপূর্বক নয়।
নিহত ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন এই প্রতিবেদনের বিষয়টি জানতে পারার পর থেকে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে  খালদো। ঘটনার পর থেকে সে স্কুলে যেত না। এলাকার লোকজন নানা কথাবার্তা বলার কারণে লোকলজ্জায় সে গ্রামে থাকতো না। উপজেলার বালিগ্রামে সে তার নানার বাড়ীতে থাকতো। শুক্রবার সেখানেই সে কীটনাশক পান করে।
গোদাগাড়ী থানার ওসি হপিজুর আলম মুন্সি বলনে, ‘কী কারণে খালদো আত্মহত্যা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ