পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালি কলসি বাজে বেশি’র মতই বিএনপি নেতারা ঢাকায় তাদের ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে বাগাড়ম্বর করছেন। তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপি নেতারা তো সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন ১২-১৩ বছর ধরে। উনারা এক দফা আন্দোলনেই তো আছেন। আর ১০ ডিসেম্বর কতটুকু কি হবে সেটা আমরা জানি এবং বুঝি। কারণ সারাদেশে তো উনারা সমাবেশ করেছেন। সমাবেশের নামে কোনো কোনো জায়গায় পিকনিক করেছেন, বিশৃঙ্খলাও সৃষ্টি করেছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশের যে হাঁকডাক তারা দিয়েছিলেন তার কোনো প্রতিফলন সমাবেশগুলোতে ছিলো না। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের কোনো সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে যতো মানুষ হয়েছে, তাদের মহাসমাবেশগুলোতে সে রকম হয়নি।’
কুমিরের একই ছানা বারবার দেখানোর মতো, বিএনপির সমাবেশগুলোতে একই লোক সারা বাংলাদেশে ঘুরছে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে লঞ্চে করে বরিশালে মানুষ গেছে সমাবেশ করার জন্য। সিলেটের সমাবেশে কুমিল্লা থেকে গেছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ থেকেও গেছে। ঢাকাতেও কি হবে আমরা জানি এবং বুঝি। তবে তারা যেন সমাবেশ করতে পারে সে জন্য সরকার সর্বাত্মকভাবে তাদেরকে সহয়তা করে এসেছে। সে জন্যই তারা নির্বিঘেœ সমাবেশগুলো করতে পেরেছে।’
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘আর আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন তারা আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হতাহত করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আমি নিজেও আহত হয়েছি’।
তিনি বলেন, তাদের সমাবেশে কিন্তু একটি পটকাও ফোটে নাই আজ পর্যন্ত। সরকার নিñিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে বিধায় তাদের এভাবে নির্বিঘেœ সমাবেশ করা সম্ভবপর হয়েছে।
‘বিএনপি কেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘উনারা না কি বিশাল সমাবেশ করবেন- কেউ বলছে ১০ লাখ, আবার কালকে টেলিভিশনে দেখলাম ২৫ লাখ, কিন্তু নয়াপল্টনের সামনে ১ কিলোমিটার রাস্তা যদি বন্ধ করা যায় তাহলে ৫০ হাজার মানুষ ধরে। নয়াপল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্যের মধ্যে বোঝা যায় যে সমাবেশ আগে থেকেই ফ্লপ।’
কেন একটি প্রধান রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করতে হবে- প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কি কোনো প্রধান রাস্তা বন্ধ করে কোনো সমাবেশ করি! তারা অন্যান্য জায়গায় যে সমাবেশগুলো করেছে সেগুলো তো মাঠেই হয়েছে। তারা যেভাবে সমাবেশ করবে বলছে সে রকম মাঠ তো ঢাকা শহরে নেই, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও তা নয়। আসলেই পূর্বাচল ছাড়া আমি কোনো জায়গা দেখি না, কারণ ১০-২০ লাখ লোকের জন্য পূর্বাচল ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।