Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশনে যোগদানকারী পাকিস্তানি কূটনীতিকদের সম্মানে হাইকমিশনারের নৈশভোজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ৭:৩৩ পিএম

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত আইজাজ আহমদ চৌধুরী এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আসিফ দুররানির সম্মানে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধি কামনা করেন। প্রশ্নোত্তর অধিবেশন চলাকালীন, বেশিরভাগ বক্তা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির তাৎপর্য তুলে ধরেন।

ঢাকাস্থ পাকিস্তানের হাইকমিশন প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এসব তথ্য জানা গেছে।২১-২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ কর্ত্ক আয়োজিত বে অফ বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২২-এ অংশ নিতে বর্তমানে ঢাকা সফর করছেন রাষ্ট্রদূত আইজাজ চৌধুরী এবং রাষ্ট্রদূত দুররানি। নৈশভোজে সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, সিনিয়র সাংবাদিক, একাডেমির সদস্য এবং ঢাকাভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। স্বীয় বক্তব্যে, সফরকারী প্রতিনিধিবৃন্দ বৈশ্বিক চলমান ঘটনা প্রবাহ এবং গতিবিধির পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য চ্যালেঞ্জ ও সুযোগের রূপরেখা তুলে ধরেন।

পরিবর্তনশীল বিশ্বব্যবস্থায় পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়ে বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত আইজাজ চৌধুরী বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অভিন্ন বন্ধন রয়েছে এবং জনগণ পারস্পরিক কল্যান কামনা করে। তিনি দুই দেশের স্বার্থে এই সখ্যতার বন্ধনকে পুঁজি করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জ্ঞানী ও মননশীল নেতাদের আরও বেশি মিথস্ক্রিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করবে। আঞ্চলিক সংযোগের বিষয়ে, তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, পরিবেশগত অবক্ষয় এবং আঞ্চলিক দারিদ্র্যের মতো চ্যালেঞ্জগুলিকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রদূত আইজাজ চৌধুরী জোর দিয়ে বলেন, এই অঞ্চলের দেশগুলো যৌথ প্রচেষ্টায় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল সম্মিলিতভাবে বিকশিত হবে।

রাষ্ট্রদূত আইজাজ চৌধুরী আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলি সার্ক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে সফল না হওয়ায়, তাদের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার এজেন্ডা পুনর্লিখনের প্রয়োজন যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ, এটি এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের উপর বাস্তব এবং গুরুতর প্রভাব ফেলে। রাষ্ট্রদূত আসিফ দুররানি তার বক্তব্যে আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সার্ক এবং ন্যাম-এর মতো আঞ্চলিক ফোরামের পুনঃসক্রিয়তার বিষয়ে মত দেন এবং বলেন সার্ক বিশ্বের সবচেয়ে কম সমন্বিত অঞ্চল যেখানে বিশ্বের অন্যান্য অংশে আঞ্চলিক ব্লকগুলি বিকাশ লাভ করছে। উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে উত্তরোত্তর সহযোগিতা দীর্ঘস্থায়ী সমৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক শান্তি অর্জনের প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে বলে উল্লেখ করেন।

সমাপনী বক্তব্যে, হাইকমিশনার অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং মননশীল নেতৃত্বের মধ্যে এই মিথস্ক্রিয়া ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন যার লক্ষ্য হবে নীতির অভিন্নতা এবং দুই দেশের পারস্পরিক কল্যানের জন্য সহযোগিতার উপায়গুলি খুঁজে বের করা। প্রশ্নোত্তর অধিবেশন চলাকালীন, বেশিরভাগ বক্তা অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির তাতপর্যতা তুলে ধরেন।

সমাপনী বক্তব্যে হাইকমিশনার অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং দুই দেশের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং চিন্তাশীল নেতৃত্বের মধ্যে এই মিথস্ক্রিয়া ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন, যার লক্ষ্য হবে নীতির অভিন্নতা এবং দুই দেশের পারস্পরিক কল্যানের জন্য সহযোগিতার উপায়গুলি খুঁজে বের করা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ