Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে কমেছে পশ্চিমের আমদানি মন্দাতে ঝুঁকির সম্মুখীন বাংলাদেশের পোষাক শিল্প

ফাইনান্সিয়াল টাইম্স | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং অন্যান্য বড় বাজারে ভোক্তারা আমদানি কমিয়ে দেয়ার কারণে বাংলাদেশের পোষাকশিল্পের গুদামগুলিতে কাপড় ও তৈরি পোশাকের স্তুপ ধীরে ধীরে বাড়ছে। গার্মেন্টস নির্মাতারা বলছেন যে, ইউক্রেনের যুদ্ধ, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা, বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি, সুদের উচ্চ হার এবং বন্ধকী সম্পদের উপর নেতিবাচক প্রভাবের কারণে জুলাই মাস থেকে চীনের পর বিশ্বের বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারকের অর্ডার এবং পণ্য সরবারাহ মন্থর হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘সবকিছু দর বেড়ে গেছে, তাই পোশাকের বাজেট চাপা পড়ে গেছে। এ কারণে কিছু ব্র্যান্ড, কিছু আমদানিকারক তাদের অর্ডার কমিয়ে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কিছু খুচরা বিক্রেতা বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের পোশাক তৈরি বন্ধ করতে বা তিন মাস পর্যন্ত শিপমেন্ট বিলম্বিত করতে বলেছে। এটি একটি বিশাল প্রভাব ফেলছে কারণ আমাদের সমস্ত কারখানাগুলি পোশাক তৈরির জন্য কাপড় কিনেছে এবং এখন তারা একটি গুরুতর সঙ্কটে পড়েছে।’
বিজিএমইএ অনুসারে, বাংলাদেশ জুনের শেষ অবধি ওয়ালমার্ট, প্রাইমার্ক, এইচএন্ডএম, টার্গেটের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানে সহ বিশ্বব্যাপী ১২ মাসে বাংলাদেশ ৪ শ’ ২৬ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক এবং ২ শ’ ৬০ কোটি ডলার মূল্যের কাপড় রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৮৫ শতাংশ। এটি ১৬ কোটিরও বেশি মানুষকে, বিশেষ করে মহিলাদের, দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছে। করোনা মহামারীর প্রথম দিকে, অনেকে মেডিকেল মাস্ক এবং ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম তৈরির ঝুঁকে পড়লেও অনেক আন্তর্জাতিক ক্রেতা অর্ডার বাতিল করে দেয়ায় বাংলাদেশের পোশাক প্রস্তুতকারীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ু।
ফারুক হাসান বলেছেন যে, সাম্প্রতিক মন্দায় খুচরা বিক্রেতারা সরাসরি অর্ডার বাতিল করছেন না। পরিবর্তে তারা মূল্যছাড় বা গুদাম ভাড়ার কথা জিজ্ঞাসা করছে, যা তারা প্রস্তুতকারকদের প্রদান করেছে, যাদের পোশাক তারা অবিলম্বে বিক্রি করতে পারে না। তিনি বলেন যে, বিজিএমইএ বাংলাদেশ ব্যাংক, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরবরাহকারীদের ঋণ পরিশোধ স্থগিত করার জন্য ঋণদাতাদের চাপ দিতে বলেছে, যাতে কারখানাগুলি মজুরি এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধে অগ্রাধিকার দিতে পারে। তবে, বিশ্বের অন্যত্র অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বাংলাদেশ এড়াতে সক্ষম নয়। একটি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে সামান্য মুনাফা সহ বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের রুচি ও চাহিদার পরিবর্তনের কারণে এখন বিশেষভাবে ঝুঁকির সম্মুখীন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ