পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন দর ঘোষণা করা হয়েছে। খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে আপাতত দাম বাড়ছে না। তবুও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রভাব পোশাক খাতে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য তারা ভোক্তা বা খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ার পাশাপাশি বকেয়া অর্থ উত্তোলনের আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে, মানুষের মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে পোশাক খাত গভীর সঙ্কটে পড়বে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল সোমবার এসব কথা জানান তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর নেতারা।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে গ্যাস-বিদ্যুতের সঙ্কট বেড়েছে। বাড়তি দামেও আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালাচ্ছি। ফলে উৎপাদন খরচ দিন দিন বাড়ছে। তিনি বলেন, এখন নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে আমাদের উৎপাদন খরচ বাড়বে। এতে বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় আমাদের টিকে থাকা কষ্টকর হবে। পাশাপাশি জিনিসপত্রের দাম হু হু করে আরও বাড়বে। জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।
জুলাই থেকে পোশাকের অর্ডার ও দাম কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন করে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে বিশ্ব বাজারে আমাদের বড় ধরনের সমস্যা হবে। আমরা অর্ডার হারাতে চাই না। ব্যবসার স্বার্থে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
পাওয়ার গ্রিড, তিতাস বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোকে অবৈধ লাইন কেটে দেওয়ার পাশাপাশি মিটারের কারসাজি বন্ধ করার আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি। তাতে সরকারের অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে এবং অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যুক্ত হবে বলে মনে করেন তিনি।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি ও ক্ল্যাসিক ফ্যাশন কনসেপ্টের এমডি শহীদউল্লাহ আজিম বলেন, বিদ্যুতের দাম পাইকারিতে বাড়লে এর প্রভাব আলটিমেটলি আমাদের ওপরই পড়বে। সেক্ষেত্রে এখন না হোক, কিছুদিন পরে এটা আমাদের ওপরই আসবে। তিনি বলেন, আপাতত খুচরা পর্যায়ে না বাড়ালেও প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেখবেন বিদুৎ বিল বাড়িয়ে দেখাবে। বিভিন্ন চার্জ যুক্ত করবে। প্রভাবটা আমাদের ওপরই পড়বে।
পোশাক মালিকদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন, পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১ টাকা ৩ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। খুচরা পর্যায়ে না বাড়ালেও বাজারে এর প্রভাব পড়বে। তাই সরকারকে অনুরোধ করব খুচরা পর্যায়ে যাতে না বাড়ানো হয়। তিনি বলেন, যদি খুচরা পর্যায়ে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। তবে উৎপাদন খরচ বাড়বে। তাতে বর্তমানে কারখানাগুলো যে বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে, আগামীতে এটাও দিতে পারবে না। কারণ এমনিতেই বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য সঙ্কটে রয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।