পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : তালেবানের সঙ্গে গোপন আঁতাত গড়ে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পটভূমিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে রাশিয়া-ইরান। সূত্রের খবর, তালেবানদের সঙ্গে গোপন আঁতাত গড়ে, তাদের আফগানিস্তানের মাটিতে রাজনৈতিক ভাবে সক্রিয় করতে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়া-ইরানের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এই দুই রাষ্ট্রকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপত্রের দাবি, যেখানে আফগানিস্তানে রাজনৈতিক ভাবে তালেবানদের ঢোকানোর কথা ভাবা হচ্ছে, সেখানে অবশ্যই কিছু বিষয় সকলকে মনে রাখতে হবে। প্রথমেই সন্ত্রাসবাদকে বিদায় জানাতে হবে তালেবানকে, আল কায়দার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করতে হবে তালেবানকে। যেকোনও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যা ভূমিকা সেটা পালন করতে হবে তালেবানকে এবং কোনওভাবেই এমন কোনও কর্মকা-ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবে না তারা, যার প্রভাবে গত ১৫ বছরের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে রাশিয়াকে দেওয়া এধরনের হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। কিন্তু সম্প্রতি মস্কোর আফগান নীতিতে অখুশি নয়াদিল্লি। তাই এই হুঁশিয়ারির বার্তার সঙ্গে সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ সরূপ ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার বিশেষ সম্পর্কের কথা একাধিকবার মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি একথাও বলেছেন, মস্কোর সাম্প্রতিক এই নীতিতে ভারত বিরক্ত হলেও, এই দুই রাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য এই সপ্তাহের শেষের দিকে আফগান পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় রাশিয়ার প্রতিনিধি অ্যালেক্সান্ডার ম্যানটিটস্কি বলেন, তালিবানরা জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়ছেন, কিন্তু আইএস সারা দুনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম চালাচ্ছে। এমনকি আইএস-এর বাড়াবাড়ি মধ্য এশিয়ায় অচলাবস্থা সৃষ্টির অন্যতম কারণ বলে মনে করে রাশিয়া।
এমনকি ইরানও ওই একই কারণে তালেবানকে সমর্থন করছে, আইএস-এর উত্থান আফগান মাটিতে রুখতে। যদিও আন্তর্জাতিক মহলে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করেছে ইরান। Ñসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।