পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন নির্বাচনে পপুলার ভোটে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়া ঠেকাতে চান রিপাবলিকান দলেরই ৩০ জন ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটার। এ কথা জানিয়েছেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির আইনের অধ্যাপক ল্যারি লেসিগ। এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে শুরুতে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট গতকাল এ খবর জানিয়েছে।
৮ নভেম্বরের নির্বাচনের ঘোষিত ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারিকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। তবে এখনো চূড়ান্তভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি। তার জন্য ১৯ ডিসেম্বর ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটগুলো তাকে পেতে হবে। ট্রাম্প যেসব ইলেক্টোরাল ভোট জিতেছেন সেগুলোর মধ্যে যদি ৩৭ জন ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটার তাকে ভোট না দেন তাহলে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। যদিও ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটাররা পপুলার ভোটের ফল অনুসারে সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাজ্যে জয়ী প্রার্থীকে ভোট দিতে আইনত বাধ্য।
অবশ্য এখন পর্যন্ত টেক্সাসের রিপাবলিকান ইলেক্টোরাল ভোটার ক্রিস সাপ্রান প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না। তিনি মনে করেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য নন। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসিতে আলোচনার সময় অধ্যাপক ল্যাসিগ জানিয়েছেন, ক্রিস ছাড়াও অনেক রিপাবলিকান ইলেক্টোরাল ভোটার ট্রাম্পকে ভোট না দেয়ার কথা বিবেচনা করছেন। ল্যাসিগ বলেন, তিনটি গ্রুপকে সমীক্ষার পর আমাদের ধারণা, এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা ২০ জন। অনেকেই আমাকে বলেছেন এ সংখ্যা আরো বেশি, প্রায় ৩০ জনের মতো। আমি নিশ্চিত যে, অন্তত ২০ জন ভোটারতো ট্রাম্পকে ভোট দিতে চাইবেন না। ইলেক্টোরাল ভোটররা পপুলার ভোটে জয়ী প্রার্থীকে ভোট দিতে আইনত বাধ্য হলেও অধ্যাপক ল্যাসিগ মনে করেন, সংবিধানে তাদের অধিকার দেয়া আছে যাতে করে তারা স্বতন্ত্র ও দলীয় বিবেচনার ঊর্ধ্বে ওঠে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইলেক্টোরাল কলেজ আনুষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ হিসেবে ভূমিকা পালন করে। ৫৩৮ জন ইলেক্টরের সমন্বয়ে ইলেক্টোরাল কলেজ গঠিত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে এর মধ্যে অন্তত ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেতে হয়। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসনাল প্রতিনিধিদের সংখ্যার ভিত্তিতে ইলেক্টর নিযুক্ত করা হয়। ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় কোনো কংগ্রেস প্রতিনিধি না থাকায় সেখানে তিনজন ইলেক্টর এমনি নিযুক্ত করা হয়। অর্থাৎ সর্বমোট ৪৩৫ জন হাউজ রিপ্রেজেন্টিটিভ, ১০০ জন সিনেটর ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার তিন ইলেক্টরসহ ৫৩৮ জন ইলেক্টর হিসেব করা হয়।
১৯ ডিসেম্বর ইলেক্টররা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার জন্য মিলিত হবেন। ইলেক্টর যদি প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কোনো প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে অন্য প্রার্থীর জন্য ভোট দেন তবে তাকে ‘বিশ্বাসহীন ইলেক্টর’ বলে মনে করা হয়। তবে ইলেক্টররা সাধারণত এমনটা করেন না। ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি ইলেক্টরের ভোটগুলো গণনা করা হবে এবং সিনেট প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফলাফল ঘোষণা করবেন।
পপুলার ভোট তথা আমজনতার ভোটে হেরে যাওয়ার পরও ইলেক্টোরাল ভোটে জিতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সংখ্যাটা হাতে গোনা। ট্রাম্পের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ ধরনের নির্বাচনের সংখ্যা চারটি। ২০০০ সালে আল গোরের কাছে পপুলার ভোটে হেরে যাওয়ার পরও ইলেক্টরাল কলেজ ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কল্যাণে নির্বাচনে জিতে যান জর্জ ডব্লিউ বুশ। সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।