পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন এই কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বিজয় দিবসের এই কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সালাম গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমানবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের কন্টিনজেন্ট, আধাসামরিক বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধ বিষযয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক, সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সাভারের নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অধিনায়ক এবং নবম পদাতিক ডিভিশনের ৮১ কমান্ড ব্রিগেড-এর কমান্ডিং অফিসার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম আনিসুজ্জামান উপ-অধিনায়ক হিসেবে কুচকাওয়াজের পরিচলনা করেন। দেশের প্রতিষ্ঠানসমূহের এবং আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির ক্রমাগত উন্নয়নের চিত্র কুচকাওয়াজে প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী কুচকাওয়াজে মিগ-২৯ ‘ফ্লাইপাস্ট’ এবং ‘এ্যারোবেটিক ডিসপে’সহ সেনা বাহিনীর বিমান, নৌ বাহিনীর বিমান এবং র্যাবের হেলিকপ্টার প্যারাট্রুপারদের অবতরণ প্রত্যক্ষ করেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সাবেক সেনা প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ এবং তাদের সহধর্মিণীরা এতে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ভারত ও রাশিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা ৪৬তম বিজয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে সস্ত্রীক ঢাকায় আসেন। তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাম-লী, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিনবাহিনীর প্রধানগণ, প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।বিভিন্ন পেশার হাজার-হাজার মানুষ প্রায় দুই ঘণ্টারব্যাপী কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন। এ উপলক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডকে সুচারুভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় চার নেতা এবং সাত বীর শ্রেষ্ঠদের ছবি দিয়ে সাজানো হয়।
বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪৬তম বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সকালে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের প্রধান হিসেবে পরে দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টাম-লীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
প্রধানমন্ত্রী আজ ৪৬তম বিজয় দিবস উপলক্ষে পাঁচটি স্মারক ডাকটিকেট, দু’টি উদ্বোধনী খাম, দু’টি ডাটা কার্ড এবং একটি স্যুভেনির অবমুক্ত করেন।
তিনি সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এই স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম, ডাটা কার্ড এবং স্যুভেনির অবমুক্ত করেন। অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ সীলমোহর ব্যবহার করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, ডাক ও টেলিযোগযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, ডাক ও টেলিযোগযোগ সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমসহ অন্যন্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।