পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা প্রায়ই বলেন, ‘খেলা হবে’। দিনের ভোট রাতে করবেন সেই খেলা বিএনপি খেলে না। ক্ষমতা থেকে নেমে আসেন বিএনপি খেলতে প্রস্তুত। প্রশাসন থেকে দূরে থেকে খেলেন। আমরা খেলতে প্রস্তুত। তৃতীয় শ্রেণির খেলোয়াড় দিয়ে খেলতে চাই। ১০ ডিসেম্বরের পর খেলা হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আমাদের জাইমার (তারেক রহমানের মেয়ে) সঙ্গে শেখ হাসিনা জামানত হারাবে।”
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে সিলেটে সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠে বিএনপির ৭ম বিভাগীয় গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
চাল-ডাল, জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে পাঁচজনকে হত্যার প্রতিবাদ এবং দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভাগীয় গণসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় সিলেটে ৭ম গণসমাবেশ করল দলটি।
অন্যান্য সমাবেশের মতোই মঞ্চে খালেদা জিয়ার সম্মানে একটা চেয়ার ফাঁকা রাখা ছিল। বেলা ১১টায় সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সিলেটের গণসমাবেশ ঠেকাতে সরকার নিজেই বাস মালিকদের দিয়ে হরতাল ডেকেছে। কিন্তু জনগণ সমুচিত জবাব দিল সিলেটের গণসমাবেশ সফল করার মাধ্যমে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে জনপ্রতি ১ হাজার টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে আনে। রাজকোষ থেকে টাকা লুট করে জনসভা করে। এ সবের জবাব দিতে হবে। অন্যদিকে তারা বিএনপির জনসভা ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় টাকা খরচ করছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ৬শ কোটি টাকা রিজার্ভ থেকে চুরি করেছে। আজকে বেসামাল বাজার। এলসি খুলতে পারছে না। ঋণের টাকার শোধ করার টাকা কোষাগারে নেই। এরা লুটেরা ও গুম-খুনের সরকার। দেশের গণতন্ত্র নেই। আমরা গণতন্ত্র খুঁজছি। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের অনুসারীরা পিছু হটবে না।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, “১০ ডিসেম্বরের পর জনগণকে নিয়ে খেলায় নামব। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায় না। অতীতের সব গুম খুনের বিচার হবে। জনগণের লুটের টাকা ফেরত আনা হবে। বাংলাদেশকে শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ গড়তে চাই। অর্থাৎ ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’।”
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, খন্দকার আবদুল মোক্তাদির, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, তাহসিনা রুশদীর লুনা, ড. এনামুল হক চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, এম নাসের রহমান, জি কে গউছ, কলিম উদ্দিন মিলন, আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম জালালি পঙ্কী, নূরুল হক, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সিলেট যুবদলের মুমিনুল ইসলাম, মকসুদ আহমদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুল আহাদ খান জামাল, নাসিম হোসেন, বদরুজ্জামান সেলিম, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, জিয়াউল গণি জিল্লুর, নজিবুর রহমান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।