পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় শোডাউনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। জনসভায় লোকসমাগমের পাশাপাশি মহানগরী ও জেলার নেতারা নিজেদের তুলে ধরতে রীতিমত প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। দলের মন্ত্রী, এমপি, মহানগর এবং জেলা নেতাদের পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাও জনসভার প্রচারের সাথে সাথে নিজেদের প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের ডাউস ছবিযুক্ত ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন আর তোরণে বর্ণিল সাজে সাজছে বন্দরনগরী। বিশেষ করে জনসভার ভেন্যু এলাকায় রীতিমত পাল্লা দিয়ে চলছে ব্যানার, পোস্টার ও তোরণ নির্মাণ কাজ। জনসভায় নিজের পক্ষে ব্যাপক লোকসমাগম করে শক্তি সামর্থ্য প্রদর্শনের আয়োজন করছেন জন প্রতিনিধিরা। আগামী দিনে দলের বিভিন্ন পদে এবং নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও এখন দারুণ ব্যস্ত।
দীর্ঘ প্রায় একদশক পর দলীয় প্রধানের এই জনসভাকে সফল করতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার তৃণমূলে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সাংগঠনিক সব কর্মসূচি বাদ দিয়ে যাবতীয় কর্মকাণ্ড চলছে জনসভাকে কেন্দ্র করে। ইতোমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের চলমান ওয়ার্ড সম্মেলন আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে জনসভা সফল করতে গত ৯ নভেম্বর অনুষ্টিত এক প্রতিনিধি সভায় আগামী ১৮ ডিসেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। জনসভা সামনে রেখে উত্তর ও দক্ষিণ জেলার সম্মেলনও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের প্রতিটি এলাকার নেতাকর্মীদের মনযোগ এখন জনসভামুখী। মহানগর, থানা, উপজেলা, পৌরসভাসহ সব এলাকায় চলছে জনসভার প্রস্তুতি, প্রচার। নেতারা দলীয় নেতাকর্মীদের সমাবেশে নিয়ে আসার আয়োজন করছেন।
এদিকে গতকাল জনসভা সফলে এক মতবিনিময় সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ সুন্দর সফলভাবে আয়োজনের জন্য আমাদের দল মত নির্বিশেষে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পলোগ্রাউন্ডের মহাসমাবেশের মাধ্যমে দেশ জুড়ে আওয়ামী লীগের মহাকর্মসূচি শুরু হবে। সুতরাং এই মহাসমাবেশকে সফল করে তুলতে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সমাবেশকে স্মরণাতীত কালের সেরা মহাসমাবেশে পরিণত করতে হবে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা সিজেকেএস সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগ, বেসিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদ, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ, চট্টগ্রাম ওয়াসা শ্রমিক লীগ, বন্দর শ্রমিক কর্মচারী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি শফর আলী, বেসিক ইউনিয়ন সমন্বয় পরিষদ আহবায়ক মো. ইয়াকুব, সদস্য সচিব মিরণ হোসেন মিলন, রেলওয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, ওয়াসা শ্রমিক লীগ নেতা তাজুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ নেতা উজ্জ্বল বিশ^াস, বন্দর শ্রমিক কর্মচারী লীগ নেতা মীর নওশাদ, মহানগর হকার্স শমিক লীগ নেতা মো. আলমগীর, কাজী আবদুস ছাদেক মান্না মো. শাহীন, নুরুল আলম লেদু উপস্থিত ছিলেন।
চসিকে প্রস্তুতি সভা : জনসভা উপলক্ষে নগরীর টাইগারপাসের নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সেবাসংস্থাগুলোর এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে সামনে রেখে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরকে পরিপাটি করে সাজানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় প্রবেশের পথ সুগম ও মসৃণ কওে তোলা হয়েছে এবং জনসভায় আগত জনসাধারণের কোনো সমস্যা যাতে না হয় সে জন্য মাঠের ভেতরে ও চারদিকে লোকসমাগমের স্থানগুলো চিহ্নিত করে পর্যাপ্ত সুপেয় পানি, ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী টয়লেট স্থাপন করা হবে। মহানগরীকে পরিপাটি ও নান্দনিক সৌন্দর্যে সাজিয়ে তুলতে সেবা সংস্থাগুলোকে যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানান মেয়র। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান প্রকৗশলী রফিকুল ইসলাম, ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক পশ্চিম) মো. তারেক আহমেদ, বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রামের ডেন-২ মো. রফিকুল ইসলাম, সিডিএর অথরাইজড অফিসার মো. হাছান, চসিকের অতিরিক্ত প্র আবু ছালেহ, মুনিরুল হুদা, আকবর আলী, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া।
বিপুল সংখ্যক গাড়ী প্রদান করা হবে : শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দিতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি থেকে বিপুল সংখ্যক গাড়ী প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মোটর মালিক সমিতির এক বিশেষ জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি মোটর মালিক সমিতির অধীনে সকল রুটেশনে চলাচলরত সকল গাড়ীর মালিক, চালক ও হেলপারদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে গত ১৪ নভেম্বর জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৪ ডিসেম্বর রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে সমিতির পক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক গাড়ী প্রদান করা হবে। উক্ত দিনে সমিতিভূক্ত কোন গাড়ী রিজার্ভ ভাড়া যেতে পারবে না। গাড়ীর কোন কাজ (মেরামত) থাকলে তা সম্পন্ন করে চলাচলের উপযুক্ত করে রাখার জন্য সকল মালিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।